চুনারুঘাটে স্বামীর খুজে পাকিস্তানী নারী
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
আব্দুল জাহির মিয়া চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার উত্তর বাজার বড়াইল গ্রামে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার নামের এক যুবকের বাড়িতে স্ত্রী ও ৯ বছরের মেয়ে সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানি নারী মাহা বাজোয়া। পাকিস্তানের লাহোরের পাঞ্জাব সোসাইটির গাজি রোডে ওই নারীর বাড়ি। ওই নারী বাংলাদেশে আসার খবরে সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে গেছেন।
ওই পাকিস্তানি নারী জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থাকার সুবাদে সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ২০ লাখ টাকা রেজিস্ট্রারি কাবিনে পাকিস্তানে বিয়ে করেন সাজ্জাদ ওরফে হিরা । পরে সাজ্জাদ তাকে ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট বাংলাদেশে নিয়া আসেন এবং তার চুনারুঘাটে তার বাসায় মাস দুয়েক সংসার করেন আবারো পাকিস্তানে চলে যান । তার ৯ বছরের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। হিরার পরিবার সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সাজ্জাদ ওরফে হিরার চাকুরিচ্যুত হয়। তখন পাকিস্তানের লাহোর থেকে তার পাকিস্তানী স্ত্রী মাহা বাজোয়া কয়েক লক্ষাধিক টাকা হিরার দুবাই একাউন্টে পাঠান। অপরদিকে বাংলাদেশে বৃদ্ধ মায়ের স্বর্ণ বিক্রি করে টাকা দুবাই নিয়ে যান। স্ত্রী ও মায়ের টাকা একত্র করে একটি প্রাইভেট গাড়ি কিনে জীবিকা নির্বাহ করেন। কু-চতুর হিরা তখন পাকিস্তানি নারী মাহা বাজোয়া বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার ওরফে হিরা দুবাই নাইটক্লাবে কাজ করত, সেই সুবাদে আমাদের পরিচয় হয়। চট্টগ্রামের সেলিম নামের একজনের মালিকানাধীন নাইটক্লাবে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে হীরা কাজ করত। বছর খানেক আগে সেলিমের মালিকানাধীন নাইটক্লাবে দুবাইয়ের একজন স্থানীয় অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হয়ে মারা যান। তখন সাজ্জাদের মালিক সেলিমকে দুবাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তারপর সেলিমের স্ত্রী সোনিয়া ওরফে মুন্নীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে সাজ্জাদ। একপর্যায়ে সোনিয়া কারাবন্দি স্বামীকে রেখে তার জমানো অর্থকড়ি নিয়ে হিরাকে বিয়ে করে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর থেকে সাজ্জাদ আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ১৭ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ও গত শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়িতে আসেন। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, পাকিস্তানী নারী মাহা বাজোয়া গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে তার স্বামীর খুজে থানায় আসছিলেন। চুনারুঘাট থানার এসআই অজিত কুমার তালুকদার উত্তর বাজার হিরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার স্বামীকে খুজে পাওয়া যায়নি ।
ঘটনা জানতে সরেজমিন সাজ্জাদের বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন শাহনাজ মজুমদার মনি ও ভগ্নিপতি মুনছুর আহেমেদ , ২০২২ সালের ২৩ মে পাকিস্তানি নারীকে সাজ্জাদের তালাকের একটি এফিডেভিড দেখান। কিন্তু পাকিস্তানি নারী এ তালাক আইনসম্মত নয় এবং তিনি তালাক সংক্রান্ত কোনো নোটিস পাননি বলে জানিয়ে অবস্থান চালিয়ে যান। তাই স্ত্রীর অধিকার আদায়ের জন্য আমি আবার বাংলাদেশে আসছি । বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আমিআমার অধিকার চালিয়ে যাব। কিন্তু হিরা কিছু সংখ্যক ছেলে নিয়ে আমাকে হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।