পরকীয়া প্রেমিক কর্তৃক টাকা আত্মসাৎ: সংবাদ সম্মেলন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ স্ত্রী সন্তানকে ভাগিয়ে নিয়ে অবৈধ সংসার করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌরবিপনী মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নবী হোসেন নামে ভুক্তভোগী স্বামী।
জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবী হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল সালামের মেয়ে নেহারুন বেগম (২২) এর সাথে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক দ্ইু লাখ টাকা দেনমোহরানা ধার্যক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই আমি। নিশাত হোসেন নামে আমার একটি সাড়ে তিনবছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের দুই বছর পর জীবিকার তাগিদে পরিবারে স্বচ্ছলতা নিয়ে আসতে ২০১৬ সালে দুবাই চলে যাই। যাওয়ার আগে আমার স্ত্রী নেহারুন বেগমকে একটি ভাড়া বাসায় স্থানীয় বাগানবাড়ির বাসিন্দা মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আজমল হোসেন বিলাশের তত্বাবধানে বিশ্বাস করে রেখে যাই।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আমার স্ত্রী ও এই ব্যক্তির কাছে সাড়ে চার লাখ টাকায় তিনটি অটোবাইক খরিদ করে দিয়ে যাই। বিদেশ গিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে স্ত্রীর নামে একাউন্টের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা এবং ওই ব্যক্তিকে একটি অটো গাড়ির গ্যারেজ করার জন্য বিকাশে দুই লাখ টাকা পাঠিয়ে দেই। দেশের বাহিরে যাওয়ার আগে আরো দেড়লাখ সহ মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা আজমল হোসেন বিলাশের হাতে নগদ প্রদান করি। বিদেশ যাওয়ার আনুমানিক দুই বছর পর প্রতারক আজমল হোসেন বিলাশ আমার সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি আমার স্ত্রী নেহারুন বেগমকে ভূল বুঝিয়ে- ফুসলিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই প্রতারক আমার স্ত্রীকে তার নিজের বাসায় না রেখে বাগানবাড়ি গোবিন্দপুরী মালিকের বাসায় ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মতো নিয়মিত যাতায়াত ও রাত্রিযাপন করে আসছে।
প্রায় তিন বছর পর দেশে এসে স্ত্রী সন্তানের খবর নিতে গেলে পরকীয়া প্রেমিক বিলাশ আমাকে আমার স্ত্রীর ভাড়া বাসা হতে বের করে দেয়। এবং বিভিন্নভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি ছয় মাস ধরে আমার স্ত্রী ও সন্তানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। লিখিত অভিযোগে নবী হোসেন বলেন- ওই প্রতারকের ভয়ে আমি বর্তমানে আমার গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জের জামলাবাজ গ্রামে বসবাস করে আসছি। এ ঘটনায় আমি জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে ২০২৩ সালের ১৭ই নভেম্বর আজমল হোসেন বিলাশকে অভিযুক্ত করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
আমার দায়েরকৃত অভিযোগটি এসআই রিয়াজ উদ্দিনের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ দায়েরের ২ মাস হলেও পুলিশের কোন ভূমিকা না থাকায় আমি রীতিমতো শংঙ্কিত হয়ে পড়েছি বলে লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন নবী হোসেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজমল হোসেন বিলাশের বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭১৯২৩৮৫৩৮) একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।