এবার শহীদ সিরাজ লেকের সড়কে কাটা তারের বেড়া, ক্ষুব্ধ জনতা

তাহিরপুর প্রতিনিধি
বির্তক যেন পিছুই ছাড়ছে না সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা শহীদ সিরাজ লেককে নিয়ে।
সম্প্রতি এই লেকে ইত্যাদি পয়েন্ট ইট,রড সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করার পর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্মমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করার পাশাপাশি উত্তেজনা দেখা দিলে পরে সেই স্থাপনা ভেঙে দিয়ে শরিয়ে নেয় প্রশাসন।
সম্প্রতি এবার এই লেকের চলাচলের সড়কে কাটা তারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শহীদ সিরাজ লেক উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন ট্যাকেরঘাট এলাকায় অবস্থিত। এই লেকের পাশে কবর দেয়া হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিরাজুল ইসলামকে। তার নামেই নাম করন করা হয় শহীদ সিরাজ লেক।
লেক দিয়ে কয়েক যুগ ধরে চলাচলের সড়ক বন্ধ করায় দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা,স্থানীয় বাসিন্দাসহ সর্বমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সড়কে থাকা কাটা তারের বেড়া শরিয়ে সড়কটি মেরামত করারও দাবী উঠেছে সর্ব মহলে।
অনেকেই এনিয়ে বলেন,শহীদ সিরাজ লেককে নিয়ে এমন সব কর্মকাণ্ডের অশুভ বুদ্ধি কার মাথা থেকে আসে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া প্রয়োজন। তারা কি চায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিরাজের নাম মুছে ফেলতে। এই কাটা তারের বেড়া শরীয়ে নিতে দাবী জানিয়েছেন চলাচলকারী মানুষজন,মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চালকসহ স্থানীয় বাসিন্দাগন।
সুমন তালুকদার, জসিম মিয়া,সাকিল মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর জানায়,এই সড়ক দিয়ে ছোট থেকেই চলাচল করে আসছি। পাশে যে সড়কটি আছে সে সড়ক দিয়ে কয়লা, চুনাপাথরের ট্রাক চলাচল করে। আর সড়কটি মাটির একবারের মানুষ জন চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। বিকল্প সড়ক তৈরি না করে এই সড়কটি বন্ধ করাও সঠিক হয়নি। এতে করে স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ মধ্যনগর, ধর্মপাশা উপজেলা থেকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল কারী মানুষ জন্য চরম দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি জানান,খুব দ্রুতই কাটা তারের বেড়াটি সড়িয়ে নেয়া হবে।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানিয়েছেন, এই সড়কটি মুল সড়ক নয়। পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কটিই মুল সড়ক,এই সড়কই সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহার করতেই সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে। মুল সড়কটি ভাল ভাবে চালু করা হলে লেক দিয়ে চলাচলের সড়কটি পর্যটকসহ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে,তবে ভাড়ী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।