কমলগঞ্জে একটি ব্রিজের জন্য ২৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
মোঃ মালিক মিয়া, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
বিশেষ করে কৃষি কাজের জন্য নদীর দু’পাসের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এ স্থানে একটি ব্রিজটি নির্মিত হলে অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এ ব্রিজটি নির্মাণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভা এবং সদর ইউনিয়নের আয়তাধীনধলাই নদীর সে তীরে সদর ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের জন্য। ধলাই নদীতে সেতুর অভাবে ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের হাজারো হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হচ্ছে বাঁশের সাঁকো আর খেয়া।
এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিবছর খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন আবার বর্ষা মৌসুমে তা পানিতে তলিয়ে যায়। আর সেই বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র সহ বৃদ্ধ-গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ রোগী। ও শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ পারাপার হন । পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নে কম হলেও ২০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা এ বাঁশের তৈরি সাঁকোটি। এ ব্যতীত এ অঞ্চলের মানুষ জনকে ঘুরতে হয় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। অথচ এ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে উপজেলায় পৌঁছাতে হলে মাত্র ২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করে।পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড করিমপুর গোপালনগর খেয়াঘাট হয়ে সদর ইউনিয়নের সাথে এই সড়কের যোগাযোগ। একমাত্র বাধা হচ্ছে ধলাই নদী যেখানে একটি ব্রিজ দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবির পরেও আজ পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ তো দূরের কথা কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি।
রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে এই বাঁশের সাঁকোটি অবস্থান।
সড়ই বাড়ি, রামপুর, রামপাশা, সাইয়া খালি, চৈতন্য গঞ্জ, নারায়ণপুর, বনগাঁও, বাদে উবাহাটা গ্রামগুলো ছাড়া আরো পৌরসভার ১০ থেকে ২০ টি গ্রামের লোকজন এ সাঁকোটি ব্যবহার করেন। প্রতি বর্ষা মৌসুমে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এ সময় এলাকাবাসী চরম হতাশা ও দূর্ভোগে পড়েন।
আজ৩০জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার সকালের দিকে সরেজমিনে গেলে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে নবম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন বৃষ্টির সময় ছাতা ও বই নিয়ে বিপদে থাকি ছাতা হাতে ধরবো নাকি বই ধরবো নাকি বাঁশের সাঁকো ধরে ধরে এই জায়গাটি পেরিয়ে যাব।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মুমিনা বলেন, সাঁকোটি পারাপার হতে গিয়ে অনেকেরই বই কলম খাতা পানিতে পড়ে ভিজে যায়।
স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও দাবিটি বার বারই উপেক্ষিত।
স্থানীয়রা বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করলে তারা আরো জানান, বাজারের সদাই দোকানির মাল কৃষি যন্ত্রপাতি পারাপারে ভোগান্তি হয়। ফসলের বুঝা নিয়ে অতিকষ্টে সাঁকোটি পার হন সত্তর ঊর্ধ্ব বয়সের কৃষক আবদুল মনাফ তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে সাঁকোটি পারাপার হতে গিয়ে কয়েক শ লোক আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন আলাপকালে এ প্রতিনিধিকে বলেন এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন সহ জেলা প্রশাসক মহোদয় কে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন,এ এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এখানে একটি সেতু বা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে কমলগঞ্জ পৌরসভার সাথে সদর ইউনিয়নের যোগাযোগের একটি সেতু বন্ধন তৈরি হবে