ট্রাক্টরের মাটিতে মহাসড়কে কাদা, ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল
জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক্টর থেকে পড়া মাটিতে রোদে ধুলা আর অল্প বৃষ্টিতেই কাদায় পরিণত হয়েছে। শুধু আঞ্চলিক মহাসড়ক নয়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে যানচলাচল ও পায়ে হেঁটে যাতায়াতকারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
মঙ্গলবার দুপুরে অল্প বৃষ্টিতেই সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের এ উপজেলার ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা জানান, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক, জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়কসহ গ্রামীন সড়কে প্রতিদিনই ব্যক্তিগত কাজে ট্রাক্টর দিয়ে হাওর থেকে মাটি বহন করা হয়। এসব গাড়িতে মাটি বহনের উপরে ঢাকনা ব্যবহার না করায় প্রতিনিয়ত গাড়ি থেকে সড়কে ফেলা হচ্ছে মাটির আস্তরণ। যার ফলে রোদে ধুলা আর বৃষ্টিতে কাদার সৃষ্টি হয়। ফলে পিচ্ছিল এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচলকারীরা ধীরগতিতে যাতায়াত করছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোতে হেটেও চলা এখন দুষ্কর। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার লাখ মানুষের।
সিএনজি চালক খালেদ আহমদ বলেন, বৃষ্টির পানি পড়া মাত্র সড়ক কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায়। এসময় খুবই সর্তকতাসহিত গাড়ি চালাতে হয়। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে সড়কে পড়া মাটিতে এখন মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের আনহার মিয়া বলেন, চলমান ও মৌসুমে আমাদের মোটরসাইকেল চালকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোদে ধুলায় গাড়ির সামনে কিছুই দেখা যায় না। অন্যদিকে বৃষ্টিতে কাদায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছেই।
আক্তার হোসেন নামের আরেক মোটরসাইকেল চালক বলেন, বৃষ্টিতে স্লইগেইট এলাকা থেকে মজিদপুর পর্যন্ত মারাত্মকভাবে পিচ্ছিল হয়ে আছে। ৫ মিনিটের যায় এখন ১৫ মিনিটে আসলাম। তাও আবার ভয়ে ভয়ে!
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গত সোমবার আইনশৃংখলা সভায়ও আলোচনা হয়েছে। আমরা সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেব।