সুনামগঞ্জ ক্রিকেটে লঙ্কাকান্ড ট্রফি নেয়নি প্যারামাউন্ট ক্লাব
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সুনামগঞ্জ ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগের সুপারলীগের ঘটনাবহুল শেষ খেলায় প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে ফ্যান্টম ক্রিকেট ক্লাব শিরোপা জিতে নেয়। তবে শুক্রবারে খেলা শুরুর পূর্ব থেকেই ফ্যান্টম ক্লাবকে যে কোন মূল্যে শিরোপা জিতানোর চেষ্টা করে সফল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্রিকেট বিভাগের বিরুদ্ধে। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় ম্যাচ মাঠে না গড়ালে প্যারামাউন্ট ক্লাব চ্যাম্পিয়ান হতো। বৃষ্টিতে মাঠ পুরোপুরি খেলার উপযুক্ত না থাকায় প্যারামাউন্ট ক্লাব কিছুটা বিলম্বে খেলা শুরু করার দাবী জানালেও ক্রিকেট বিভাগ তা গ্রাহ্য করেনি।
মাঠের আম্পায়ার ঠিক করে দেন ক্রিকেট বিভাগের সম্পাদক। যিনি ফ্যান্টম ক্লাবের কর্মকর্তা। অভিযোগ উঠে তিনি আম্পায়ার সমিতির সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া নিজের পছন্দ মতো আম্পায়ার নিয়োগ দেন। এজন্য তাকে কযেকজন আম্পায়ারের সাথে দেন-দরবার করতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আম্পায়ার জানান, তিনি ক্রিকেট সম্পাদকের শর্ত অর্থাৎ সম্পাদকের ক্লাবকে জিতিয়ে দেয়ার শর্ত মেনে না নিয়ে আম্পায়ার হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। পরবর্তীতে এই শর্ত মেনে নিযুক্ত আম্পায়ার সম্পাদকের কথামতো তার ক্লাবকে জিতিয়ে আনেন। এজন্য তাকে প্যারামাউন্ট ক্লাবের মূল ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দলেরসেঞ্চুরিয়ান আরিফুল হককে বল ব্যাটে ও গ্লাভসে লাগার পরও এলবিডব্লিউ দিয়ে দেন। এতে দর্শকসহ অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে খেলা বেশ কিছু সময় বন্ধ থাকে। আম্পায়ারগণ এই খেলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিয়ে পরে তা ফিরিয়ে নিলেও এই সিদ্ধান্ত আর ফিরিয়ে নেননি। আগ থেকে চিত্রনাট্য তৈরি করে পরিকল্পিত ভাবে ফ্যান্টমকে জিতিয়ে দেবার কারণ হিসেবে জানা যায়, ফ্যান্টম ক্লাবের এবার ৫০ বছর পূর্তি! খেলা শেষে পক্ষপাতের প্রতিবাদে প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাব পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করে। তারা ট্রফি নেয়নি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন প্যারামাউন্ট ক্লাবের গতবারের ট্রফিও এবার দেবার কথা ছিলো!
চ্যাস্পিয়ন ফ্যান্টম ক্লাবের এবারের শিরোপা জেতা উপলক্ষে পরবর্তীতে আয়োজিত ডিনার পার্টিতে ঐ দুই আম্পায়ারের সক্রিয় অংশ গ্রহনে সুনামগঞ্জ ক্রিকেটাঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। ভবিষ্যতে ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় না কিনে আম্পায়ার কেনারও পরামর্শ দেন কেউ কেউ। সুনামগঞ্জের ক্রিকেট পাড়ায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার সাহস কেউ করেনা। সুনামগঞ্জের ক্রিড়াঙ্গনকে দূর্নীতিমুক্ত ও মাতলামিমুক্ত করার দাবী সচেতন মহলের।