‘অবৈধ ব্যক্তি তার অবৈধ ক্ষমতা দেখাল’
দৈনিকসিলেটডেস্ক
শিল্পী সমিতির সদস্য পদ হারালেন জায়েদ খান- এমন সংবাদ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজনে জায়েদের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
বনভোজন আয়োজনের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার জানান, সমিতির খাতা থেকে জায়েদ খানের ভোটাধিকার ও সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। কারণ তিনি, সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের (নিপুণ) নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনি- সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে আসছেন। সেই অপরাধে গত বছর ২ এপ্রিল সমিতির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এমন খবরে সরগরম চলচ্চিত্রাঙ্গন। কিন্তু এ বিষয়ে জায়েদ খানের প্রতিক্রিয়া কী? জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার সদস্যপদ বাতিলের এখতিয়ার তাদের নেই। কেননা বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের কোনো বৈধতা নেই।’
সঙ্গে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই সমিতির তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ বনভোজনের দাওয়াতই পেলাম না। উল্টো শুনতে হলো- আমার নাকি সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে! আসলে একটা বিষয় নিয়ে বারবার বলতে ভালো লাগে না। বহুবার বলেছি, এখনও বলছি- এই অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি যা করার সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই করেছি ও করব।’
নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত কেন এসেছে- সেটা তো শিশুও বলতে পারবে। একজন অবৈধ দখলদার যা চাইবে তাই করতে পারে। কারণ তার তো ভোটারদের কাছে জবাবদিহি নেই। ভোটে তো জয়লাভ করেছিলাম আমি। অথচ দখল করল আরেকজন (নিপুণ)। এটা নিয়ে কিন্তু অনেক কিছুই হয়েছে। যাই হোক, গত এক বছর এটা নিয়ে আমি ভাবিইনি। ব্যস্ত আছি নিজের কাজ নিয়ে। অথচ এরমধ্যে আবারও অবৈধ ব্যক্তি তার অবৈধ ক্ষমতা দেখাল। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এই সমিতির। এটা আমার প্রাণের সংগঠন। এই সংগঠন ও সংবিধানের প্রতিটি লাইন আমার মুখস্ত। আমি একজন সাংগঠনিক ছেলে। আমি জানি, কোনটা সংগঠন বিরোধী আর কোনটা ব্যক্তি বিরোধী।’
এরা সংগঠনের সংবিধানই পড়েনি উল্লেখ করে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘শুরু থেকেই আমার অভিযোগ একজন ব্যক্তি ও তার অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে। কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে কি কেউ কথা বলতে পারবে না? ব্যক্তির দায় তো সংগঠনের নয়। আমি তো সংগঠনের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলিনি। তাহলে কেন সংগঠনবিরোধী বক্তব্যের দায় তুলে আমার সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করল? আর কাউকে বাতিল করতে হলে, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে অন্তত তিনবার। আমি মাত্র একটি চিঠি পেয়েছি। সেটার জবাবও দিয়েছি। আসলে এরা (নিপুণ আক্তার) তো সংগঠনের সংবিধানই পড়েনি। জানে না, সংগঠনের বিধি-বিধান। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’
এদিকে, আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। জানা গেছে, সম্ভাব্য তারিখটি পেছানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। আর বর্তমানে শিল্পীরাও ব্যস্ত আছেন তাদের প্যানেল গঠনের কাজে।