বালাগঞ্জের দুই সহোদরের উপর প্রতিপক্ষের হামলা, নি-হ-ত ১
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের রুকনপুর জামে মসজিদের সামনে হামলার শিকার হয়েছেন বালাগঞ্জ উপজেলার কলমপুর গ্রামের কনাই মিয়ার পুত্র দৈনিক সকালের শিরোনাম’র বালাগঞ্জ প্রতিনিধি জাহেদুল ইসলাম জাহেদ (৩৪) ও জুনেদুল ইসলাম জুনেদ (২৭) নামে দুই সহোদর। দেশীয় অস্ত্র দায়ের এলোপাতাড়ি কুপে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান জুনেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহেদকে পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। পরে আহতের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রোগীর স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায়। পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, মামলার হাজিরা দিতে সিলেট কোর্টে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের রুকনপুর মসজিদের সামনে আসামাত্র তাদের গতিরোধ করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় দায়ের এলোপাতাড়ি কুপে ঘটনাস্থলে নিহত হোন জুনেদুল ইসলাম জুনেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহেদুল ইসলাম জাহেদকে পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। পরে বিকেলে আহতের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রোগীর স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান।
এ সময় স্থানীয়দের ধারণ করা এক ভিডিও ক্লিপে গুরুতর আহত জাহেদ জানান, আহমদ আলীর ছেলেরা ৪টি মোটর সাইকেলে এসে তাদের উপর দা দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। জাহেদ জানান, হামলাকারীরা হলেন, মজনু, বাছিত, এনাম, মেহাম্মদ আলী ও আলী হোসেন।
খবর পেয়ে প্রথমেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু। পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। চেয়ারম্যান আহমদ জিলু জানান, ঘটনার খবর পেয়েই ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ও সিলেটের এসপি অফিসের যোগাযোগ করেন তিনি। উভয়পক্ষের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলায়। এই দুই পরিবারের মধ্যে পূর্ব শত্রুতাও রয়েছে। অতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলেও জেনেছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আরিফ হোসেন জানান, উভয় পরিবারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার কলুমপুর গ্রামে। মামলার হাজিরা দিতে সিলেটে কোর্টে যাচ্ছিল তারা দুই ভাই। প্রতিপক্ষের হামলায় জুনেদুল ইসলাম জুনেদ নামে একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত জাহেদুল ইসলাম জাহেদকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এমন হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে এবং আসামীদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।