জামালগঞ্জে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে আদালত কর্তৃক জারি করা ১৪৪ ধারাকে অমান্য করে জোর পূর্বক বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সাচনা (পালপাড়া) গ্রামের আদালত কর্তৃক জারি করা ১৪৪ ধারাকে ভঙ্গ করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মৃত ধনঞ্জয় পালের ছেলে রতন পালের বিরুদ্ধে। গত ২ দিন যাবত মিস্ত্রী দিয়ে কাজ চলছে বলে দাবি বাদি পক্ষের। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।
জানা যায়, বসত ভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে উপজেলার উত্তর কামলাবাজ গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে অনীল চন্দ্র পাল ও সাচনা (পালপাড়া) গ্রামের মৃত ধনঞ্জয় পালের ছেলে রতন পালের মধ্যে।
তারই জেরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে অজ্ঞাতনামা কতিপয় অসাধু লোকের সহায়তায় রতন পাল জোরপূর্বক ভুমিতে থাকা খুঁটি উপড়িয়ে তুলে ইট, বালু, রড ও সিমেন্ট নিয়ে নালিশি ভূমিতে প্রবেশ করে বিল্ডিং ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। এ ঘটনায় ওইদিনই অনীল চন্দ্র পাল বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা মতে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই ভূমিতে পক্ষদ্বয়কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।কিন্তু আদালতের এই আদেশকে উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ রতন পালের বিরুদ্ধে পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে বলে একাধিক ভিডিও ও ছবি আছে বলে দাবি অভিযোগ কারীর।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অনীল চন্দ্র পাল জানান, আদালতের ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ পাকা ঘর নির্মান করছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরও তারা কি করে ঘর নির্মাণ করেন।
অভিযুক্ত রতন পাল ১৪৪ ধারাকে ভঙ্গ করে ঘর নির্মাণ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমি জায়গার খরিদা সূত্রে মালিক। আমি আমার জায়গায় কাজ করতেছি। কোর্টের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর কাজ বন্ধ রেখেছি। তবে আমার বড় ভাই আগের কাজে হয়তো পানি দিতেছে।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস বলেন, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর আমরা উভয় পক্ষকে এই বিষয়ে একটি নোটিশ প্রদান করেছি । আর ভূমির বিষয়টি দেখবে এসিল্যান্ড অফিস। তারপরও যদি উভয় পক্ষ স্থিতাবস্থা না থাকে, তাহলে বাদী পক্ষ তার আইনজীবীকে দিয়ে পূনরায় পরবর্তী শুনানিতে আদালতকে অবহিত করবে।