নারী পুলিশের প্রেমের ফাঁদে ফেলে পলাতক ৩ আসামীসহ গ্রে-ফ-তা-র ৬
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে পুলিশের অভিনব কৌশলে নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাজাপ্রাপ্ত ৩ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুক নূর উপজেলার রামনগর গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।
রবিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের পানসি রেষ্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুক নূর দীর্ঘদিন যাবত ওয়ারেন্টভুক্ত হিসেবে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে দায়রা ৪৭৪/১৫ জিআর, ১৫৮/১৫ ( সদর) মামলায় আদালত কর্তৃক ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় রয়েছে।
ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাসের নির্দেশে থানা পুলিশ ও তাদের সঙ্গীয় নারী ফোর্স দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে। এবং সেই ফাঁদে ধরা দেয় মাসুক নূর। অবশেষে তাকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে একই দিনে উপজেলার বিছনা গ্রামের আবু সৈয়দের ছেলে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গাজিউর রহমান (৫৫) এবং একই ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মো. ফয়েজ আহমদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে জিআর নং ৩৭/২০২০ মামলায় আদালত কর্তৃক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মো. ফয়েজ আহমদের বিরুদ্ধে দায়রা মামলা নং ৭৮২/২০১৮ সিআর ৮৩/২০১৮ ও দায়রা মামলা নং ৩৪৭/২০১৯ সিআর ২৬/২০১৯ দুটি মামলায় মোট ২ বছর কারাদন্ড ও ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডের রায় রয়েছে।
এছাড়াও অন্য একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত নাজমুল হোসেন নামে একজন এবং নিয়মিত মামলায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা মো. ফজল ও ছয়ফুলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুক নূর, দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া অন্য ২ আসামীও দীর্ঘদিন পলাতক ছিল, তাদেরকে ঢাকা থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে তাদেরসহ মোট ৬ জনকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।