মাধবপুরে চা-বাগানে প্রাণ ফিরছে চায়ের রাজ্যে
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
শীতের শেষে আবারো প্রাণ ফিরতে শুরু করছে চায়ের রাজ্যে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি চা বাগানে ফাল্গুনের প্রথম বৃষ্টির পরে নতুন পাতা আসতে শুরু করেছে। তাই উৎপাদনে যাওয়ার জন্য চা বাগানগুলোতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। শীতের শুরুতে চা বাগানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এসময়ে চা গাছগুলোকে ছেটে ফেলে হয়। চা বাগানের ভাষায় এটাকে বলা হয় প্রুনিং। দীর্ঘ সময় ধরে পাতা তোলার কারণে এক সময় চা পাতার মান খারাপ হয়ে যায়। শীতের শুরুতে চা গাছগুলোকে ছেঁটে দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করলে ফাল্গুনে বৃষ্টি হওয়ার পর আবারও ভালো মানের চা পাতা পাওয়া যায়। এই পাতা থেকে উৎপাদিত হয় উন্নত মানের চা।
চা গাছে নতুন পাতা আসায় মাধবপুর উপজেলা পাঁচটি চা বাগানে ( তেলিয়াপাড়া চা বাগান, সুরমা চা বাগান, জগদীশপুর চা বাগান, বৈকুন্ঠপুর চা বাগান ও নোয়াপাড়া চা বাগান) শুরু হয়েছে উৎপাদনে যাওয়ার তোরজোর। চা কন্যারা নতুন পাতা তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চা কারখানার সকল যন্ত্রপাতি ঘষামাজা করে উৎপাদনে যাওয়ার উপযোগী করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
চলতি সপ্তাহেই বেশিরভাগ বাগান চা উৎপাদন শুরু করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক দীপেন সিংহ জানান, ইতিমধ্যেই আমরা চা পাতা উত্তোলন শুরু করেছি। তবে পরিমাণে কম হওয়ায় আমাদের চা কারখানা এখনো চালু করছি না। ন্যাশনাল টি কোম্পানির আরেকটি বাগানের কারখানায় উত্তোলিত চা পাতা পাঠানো হচ্ছে।
এশিয়ার বৃহত্তর চা বাগান সুরমা’র ব্যবস্থাপক বাবুল সরকার জানান, আমরা গতকাল থেকেই চা পাতা উত্তোলন শুরু করেছি। তবে কারখানা চালু করতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে। উত্তোলিত চা পাতার মান খুবই ভাল। আরো বৃষ্টি দরকার, বৃষ্টি হলে ভালো মানের চা পাতা পাওয়া যাবে।