শাবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আপনারা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা, আপনারা আগামী প্রজন্মের জন্য কোন স্লোগানটি নিয়ে এসেছেন? কোন রাজনৈতিক ভাষাটি আমাদেরকে এখানে জানানোর চেষ্টা করেছেন? শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোন স্বপ্নের কথা আপনি এখানে বলেছেন? তাতে কোন সংকটের কথা আপনারা উচ্চারণ করেছেন? কোন কিছুই বলেননি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১২টায় শাবি কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যক্তিসর্বস্ব এবং স্লোগান সর্বস্ব রাজনীতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখতে পারবেনা। আমাদের কি করা উচিত, কি করা উচিত না তার একটি প্রদর্শনী যেন এখানে হয়ে গেল।
এ ধরনের কর্মীসভার কোন মান নেই, যদি আমরা গাণিতিক ভাবে ছাত্রলীগের সংখ্যা কতজন বেড়েছে সেটিতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নেতা কমীরা গুণগতমানে কতটুকু প্রশিক্ষিত, দক্ষ এছাড়াও আমাদের প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষাথীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কতটুকু যোগ্য করে তুলতে পারছি সে প্রশ্নটিকে আমরা প্রশ্নবিধ্য করে ফেলি, তাহলে সে প্রত্যাশা পূরণ হবেনা।
রাজনৈতিক স্লোগান হয়তো আপনাদের কাছে মনে হতে পারে কোন ঠুনকো বিষয় নয়। কিন্তু আসলে সেটি নয়। স্লোগান হোক, মিছিল হোক, দেওয়াল লিখন হোক এটি আমরা করি মূলত আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা বলার জন্য।
তিনি আরো বলেন, আমরা সকল শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করি, শিক্ষাথীদের স্বপ্নের কথা বলি। শিক্ষার্থীদের ভয়েসের, শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের অ্যাম্বাসেডর হচ্ছি আমরা। আপনার স্লোগানে, চলনে-বলনে ব্যক্তিত্বে আপনার রাজনৈতিক কর্মনিষ্ঠায় সেগুলোর প্রকাশ ঘটবে।
এই যে আমাদের এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে আমাদের অল্প কয়েকজন মেয়ে বসে আছে এবং আমরা নারী শিক্ষার্থীদের আমাদের সংগঠনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত মাত্রায় আমরা সংশ্লিষ্ট করতে পারিনি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের যে ওয়ার্কিং এনভারনমেন্ট, সেটা আধুনিক নয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি কোন নির্দিষ্ট পদে যাওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সংগ্রাম করে শিক্ষার্থীদের জন্য, মানুষের স্বপ্নকে ভাষা দেওয়ার জন্য। মানুষের বেদনাকে রূপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে ছাত্র রাজনীতি করে এসেছে।
আমাদের অধিকার নেই যে আমাদের নিজেদের নামে স্লোগান দিয়ে স্লোগান সর্বস্ব রাজনীতি করে সংখ্যার রাজনীতি বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তাদের উপর রাজনীতি চাপিয়ে দেয়ার।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিবর্তনের সুরকে আত্মস্থ করাই হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ধর্ম। যেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাওয়ার পলিটিকসের জায়গা পলিসি পলিটিক্সের কথা বলি
ক্যাম্পাস ছাত্রলীগদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আপনার আমার কোন অধিকার নেই যে ছাত্র রাজনীতির নামে শিক্ষাথীদের দুর্বিষহ যন্ত্রণা চাপিয়ে দেওয়া। আপনার আমার কোন অধিকার নেই, যে আমাদের ঠুনকো প্রতিযোগিতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশে কোন ধরনের বিঘ্ন ঘটবে। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ বিরোধী কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়, সেটি সুস্পষ্টভাবে ফৌজদারি অপরাধ। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে কেউ যদি দুর্বিষহ পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করে, তার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সহ-সভাপতি রিপন মিয়া, আল আমিন রহমান, জয়নাল আবেদীন ও আবু সাঈদ কনক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুর খান কলিন্স ও কাজল দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, উপ দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ, উপ-অটিজম বিষক সম্পাদক মো. ফাহিম চৌধুরী ও সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি প্রমুখ।