শাবিপ্রবিতে জনবল নিয়োগে পছন্দস্থল সিলেট
নুুর আলম, শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বৃহত্তর সিলেট বিভাগ। গত সাড়ে ৬ বছরে ২২৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এদের মধ্যে ১৫১ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বলে জানা গেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ জনবলকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ আগস্টে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর ফের ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্বকাল থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন ৩৭৬ জন।
তারমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন ১৫৩ জন। যাদের ১০৩ জনই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। আর বাকি ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে ঢাবি(২০), বুয়েট(১৩), চবি(৮), জাবি (৫), রাবি(২) ও চুয়েট(১) থেকে নিয়োগ পান।
অন্যদিকে, এ উপাচার্যের দায়িত্বকালে কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছে ৩৫ জন; এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) অঞ্চল থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার (কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ২ জন ও অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।
একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৪ জন। যারমধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার ৭ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন রয়েছেন।
এছাড়া তার দায়িত্বের সাড়ে ৬ বছরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসেবে ১৩৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেটের রয়েছে ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবি এখন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। যার ফলাফলস্বরুপ ১৫৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে ১০৩ জনই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাছাড়া আমরা বিজ্ঞাপন ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার কারণে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।