সিলেটে ইবাদত বন্দেগিতে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর
দৈনিকসিলেট প্রতিবেদক
সারাদেশে ন্যায় সিলেটে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। আজ ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি আমাদের দেশে শবে কদর হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে কদর। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি লাইলাতুল কদর হওয়ার ব্যাপারে ইসলামি পণ্ডিতদের বড় অংশের মত পাওয়া যায়। রমজান মাসের বিশেষ মর্যাদার অন্যতম দিক লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত, যার অপর নাম শবে কদর। মহিমান্বিত, বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ এই রাতে নামাজ আদায় করতে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারসহ নগরীর প্রতিটি মসজিদে ভিড় করছেন মুসল্লিরা। এশা ও তারাবির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন নফল ইবাদত করছেন। তাবারিতে কোরআন খতম হচ্ছে আজ। এতে মহিমান্বিত এই রাতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি আমেজ।
হাজার মাস ইবাদত অপেক্ষা উত্তম করে আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরকে সম্মানিত করেছেন। এই রাতে সিলেটে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদিরে সমাগম ঘটেছে। উদ্দেশ্য একটাই- ইবাদতের মাধ্যমে এই রাতকে জাগিয়ে রাখা। মসজিদের পাশাপাশি বাসা-বাড়িতেও রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ । তারাবিতে খতমে কোরআনকে কেন্দ্র করে নামাজের শেষে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল হয় এই রাতে এবং ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করা হয় এই রাতে। তাই শবে কদরের রাতটি সিলেটে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহপাকের ক্ষমা প্রার্থনা ও পুণ্য লাভের আশায় অতিবাহিত করেন। কুরআন তেলাওয়াত, বেশি বেশি নফল নামাজ, জিকির-তাসবিহ এবং চোখের পানি ঝড়িয়ে ইবাদতের মাধ্যমে কাটান রাতটি। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ইফতারের পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন মাজার-মসজিদে মুসল্লিদের সমাগম দেখা গেছে। অনেকেই ইফতার করে খতমে তারাবি শেষ হবে এই জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আগেই মসজিদে যেতে দেখা গেছে।
সারা রাত আল্লাহর প্রার্থনা আর নফল নামাজ এবং সেহেরি শেষে ফজরের নামাজের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে পালন করা হয় পবিত্র লাইলাতুল কদর।
মুসলিম জনগোষ্ঠী ফজরের নামাজের পর সৃষ্টিকর্তার করুণা লাভের জন্য বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করবেন।