জামালগঞ্জে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুশফিকীন নূর এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদ গেট থেকে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূরের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু, জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফুজ্জামান, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার, সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুক মিয়া, জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষন চক্রবর্ত্তী, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো ওয়ালী উল্লাহ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কলমদর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি রঞ্জিত চন্দ্র সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আমরা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে চলতে চাই। এছাড়াও এমপি রঞ্জিত বলেন, আজ পহেলা বৈশাখ, আমি আপনাদের সাথে বছরের প্রথম দিনটি উদযাপন করার জন্যই চলে এসেছি। যদিও আমার দুই মেয়ের বায়না ছিল তাদের সাথে সিলেটে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে। কিন্তু আপনাদের কথা ভেবে আমি গত এক সপ্তাহ যাবত আমার নির্বাচনী ৪ উপজেলায় ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার জন্য এখনো আছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো আপনাদেরকে সাথে নিয়েই বাঁচবো। আমি এমপি হিসেবে প্রথম উত্তোলনের ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই মসজিদ ও মন্দিরে দান করে দিয়েছি। তাছাড়া সরকারি ভাবে প্রথমে ২৫ কোটি টাকা এবং বর্তমানে আরো ৩ শত কোটি টাকার একটি বরাদ্দ এসেছে। এটা আমি ৪ উপজেলায় সমান ভাগে ভাগ করে দিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করবো। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেনীর জনগন মিলে পরামর্শ করে যেখানে উন্নয়ন করতে চান সেখানেই করা হবে। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমি ধান কাটার জন্য আরো ২০ টি হারভেষ্টার মেশিন স্পেশাল বরাদ্দ এনেছি। এগুলোও ৪ উপজেলায় বিতরণ করা হবে।
পরে জামালগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা ও এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।