দূর্ঘটনা নাকি হত্যা: বাবলুর মৃত্যুর রহস্য জানতে চায় কোম্পানীগঞ্জবাসী

মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ী বাবুল ইসলাম বাবলুর হত্যার বিচারের প্রতিবাদে উপজেলার টুকেরবাজার হাই স্কুল মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় প্রতিবাদ ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মেম্বারের সভাপতিত্বে ও টুকেরগাঁও আদর্শ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, এডভোকেট কামাল হোসেন।
ব্যবসায়ী বাবুল ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যুর চারদিন পরে মামলা রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
গত ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১২ টায় ব্যবসায়িক কাজে ঘর থেকে বাহিরে হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে বাবুল ইসলাম বাবলু।
পরদিন (১২ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি রাস্তার পাশের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এসময় ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।
এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বাবুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন। ১৬ এপ্রিল দুপুরে এ মামলা রেকর্ড করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
অভিযোগে বাবুলের স্ত্রী উল্লেখ করেন ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ও দুই পা ভেঙ্গে বাবুল ইসলামকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
হত্যার পর আলামত নষ্ট করার জন্য হত্যাকারীরা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
বাবুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন হত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পালন করছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বাবুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রহস্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনার ৪ দিন মামলা না দিয়ে রহস্য উদঘাটনে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে। থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে বসে থাকলেই হবে না সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার না করা হলে সড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জকে অচল করে দেওয়া হবে।