বিশ্বনাথে সোনালী ধান গোলায় তুলতে কাটা মাড়াই ও সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষকরা
সমুজ আহমদ সায়মন, বিশ্বনাথ থেকে
সিলেটের বিশ্বনাথে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান।ধান কাটার ধুম পড়েছে মাঠে মাঠে।নতুন ধানের বাম্পার ফলনে উপজেলার কৃষক ও কৃষাণীর মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।বৈশাখের প্রখর রোদ ও গরম উপেক্ষা করে সোনালী ধান গোলায় তুলতে কাটা, মাড়াই ও সংগ্রহে ব্যস্ত হয়েছেন তারা। চৈত্রের শেষ দিকে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও চলতি মাসে আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় স্বস্তিবোধ করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাওর এলাকার প্রত্যন্ত মাঠ ঘুরে দেখা যায়,প্রচন্ড গরম ও রোদ উপেক্ষা করে কৃষকরা শ্রমিক না পাওয়ায় পরিবারের ছোট বড় সদস্যদের নিয়ে ধান কাটছেন,মাড়াই করছেন। কেউ আবার ধান পরিস্কার করছেন,কেউ আবার রোদে শুকাচ্ছেন কেউ আবার গোলায় তুলতে মাথায় বহন করছেন।আর এসব কাজে তাদের সাথে সাহায্য করছেন পরিবারের মহিলা সদস্য ও ছোট বাচ্চারা।ঝড় বৃষ্টি তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় দ্রুত ধান কাটতে শ্রমিক মিলাতে না পারায় কিছুটা হতাশ।তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে দেরীতে হলেও ধান কাটা ও সংগ্রহে সমস্যা হবেনা বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় ধান আদা পাকা কাটতে হচ্ছে এ বছর। শ্রমিক মিলছে না বিধায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত আছেন দিনরাত এমনটাই জানিয়েছেন কৃষক রমিজ আলী।
কৃষি অফিস কর্তৃক জানা যায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ছোট বড় হাওরের ৭২৩৯ হেক্টর জমিতে উপশী ও হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে।এর মধ্যে অধিক ফলন হয়েছে হাইব্রিড জাতের ব্রি ধান-৯২,৮৯,৭৪,ও ব্রি ধান-২৯।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন,চলতি মৌসুমে বোরো ধানের অবস্থা সন্তোষজনক। ইতিমধ্যে মোট ধানের ৭% কর্তন হয়েছে এবং পাকা অবস্থায় আছে ১৫%।আশাকরি ভালো ফলন পাওয়া যাবে।