বড়লেখায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: ২০টি খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

তাহমীদ ইশাদ রিপন, বড়লেখা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার সর্বত্র ঝড়-তুফান বয়ে গেলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বর্ণি, দাসেরবাজার, নিজ বাহাদুরপুর, উত্তর শাহবাজপুর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন এলাকায়। এই পাঁচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এছাড়া বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ লাইন। অনেকের বসতঘর ও বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ও খুঁটি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২৬ ঘন্টা পরও এই চার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় প্রচন্ড বেগে ভারি বর্ষণ আর ঝড়-তুাফান। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে রাত আটটার দিকে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন বায়েছ জানান, শনিবারের ঝড়ে তার ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এর আগের দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পাওয়া যায়নি।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, এবারের ঝড়েও তার ইউনিয়নের দেড় শতাধিক পরিবারের বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগের দুই বারে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৫-৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান, গতরাত এর ঝড়ে বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ২০টি খুটি ভেঙ্গেছে ও এলাকায় অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।শাহবাজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান, আগের দুই দফায় ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকায় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এখনও কোনো ত্রাণ আসেনি। শনিবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে প্রেরণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন।