স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
আপনি কি কখনও এমন অবস্থায় পড়েছেন, যেখানে আপনি কারও নাম বা কোনো জায়গার নাম মনে করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কিছুতেই মনে পড়ছে না? বাজার করতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছেন হিসেব? আপনি যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার স্মৃতিশক্তি হয়ে পড়েছে দুর্বল।
অনেকেই বলে থাকেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। এমনকি যুক্তি দেওয়ার সক্ষমতাও কমে আসে। তবে আশার কথা হচ্ছে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়। নিচের কিছু মানসিক চর্চা আর কৌশলের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে আবার শানিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সঠিক খাবার খাওয়া- যে পরিমাণ গ্লুকোজ আপনি গ্রহণ করেন, তার ২০% সরাসরি মস্তিষ্কে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে দেহের গ্লুকোজের পরিমাণের ওপর। দেহের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে মন ও মস্তিষ্ক অনেকটাই ঝাপসা মনে হতে পারে।
কিন্তু শুধু মস্তিষ্কের ক্ষুধা মেটালেই চলে না, পেটের ক্ষুধাও মেটানো দরকার। মানুষের পরিপাকতন্ত্রে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন অণুজীব থাকে। এরা স্নায়ু ব্যবস্থার মাধ্যমে মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত থাকে। আর তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে হলে এসব অণুজীবের একটা ভারসাম্য রাখতে হয়।
কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরেও বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন?কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরেও বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন?
ব্যায়াম- শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে। ব্যায়ামের কারণে মস্তিষ্কের সাইন্যাপসিস বা যে অংশে দু’টি কোষের নিউরনের মধ্যে স্নায়বিক বৈদ্যুতিক স্পন্দন আদান-প্রদান ঘটে তা বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং অতিরিক্ত কোষ গঠিত হয়।
আর আপনি যদি বাসার বাইরে বা খোলা যায়গায় শরীর চর্চা করেন তাহলে সেটি আরও বেশি ভালো। কারণ এতে করে আপনি বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারবেন।
চলতি পথে মুখস্থ করা- চলতি পথে মুখস্থ করার অভ্যাস বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। অভিনেতারা এই বিষয়টির চর্চা করেন। বলা হয় যে, আপনি চলার পথে যদি নতুন কোনো শব্দ বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন তাহলে সেটি বেশি মনে থাকে।
নতুন চ্যালেঞ্জ নিন- মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর একটি ভালো উপায় হচ্ছে চ্যালেঞ্জ নেওয়া। যেমন- নতুন কিছু শেখা। আর্ট ক্লাসে অংশ নেওয়া কিংবা নতুন কোনো ভাষা শেখার মতো কাজ আপনার মস্তিষ্কের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াবে। এর অংশ হিসেবে আপনি আপনার পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে কোনো একটি অনলাইন গেম শুরু করতে পারেন। এটা শুধু আপনার জন্য একটা চ্যালেঞ্জই হবে না; অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানে হচ্ছে আপনার সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া বাড়বে। আর সামাজিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাটা মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গান শুনুন- সঙ্গীত মস্তিষ্ককে অসাধারণ উপায়ে উদ্দীপিত করে। আপনি যদি গান শোনার সময় কিংবা বাদ্য যন্ত্র বাজানোর সময় কারও মস্তিষ্কের চিত্র দেখেন তাহলে দেখবেন যে তার মস্তিষ্কের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গান সাধারণ বোধশক্তি ও স্মৃতিকে শক্তিশালী করে।
পড়া এবং ঘুম- আপনি যদি দিনের বেলায় পড়েন, তাহলে আপনার মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে এক ধরনের সংযোগ স্থাপিত হয়। আর আপনি যখন ঘুমিয়ে যান তখন ওই সংযোগ শক্তিশালী হয় এবং আপনি যা শিখেছেন তা স্মৃতিতে পরিণত হয়। এ কারণে স্মৃতির জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তাই আপনি যদি ঘুমানের আগে কোনো কিছু মুখস্থ করেন, তাহলে পরের দিন সকালেও সেটি আরও ভালভাবে মনে করতে পারবেন। কিন্তু কাউকে যদি আপনি সকালে কোনো কিছু মুখস্থ করতে দেন এবং সন্ধ্যায় সেটি মনে করতে বলেন তাহলে তারা সেটি তেমন ভালোভাবে মনে করতে পারবে না।