বালাগঞ্জে আদিত্যপুর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্বাঞ্জলি
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
রাজিব আহমেদ,বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
বালাগঞ্জে আদিত্যপুর গণহত্যা দিবস (১৪ জুন) দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বালাগঞ্জে ও রাজাকার আল বদর -আল শামসদের সহযোগিতায় চলে নিরীহ লোকদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ। লাশের পঁচা গন্ধে ভারী হয়ে উঠে বালাগঞ্জের হত্যাযজ্ঞ কবলিত এলাকা।
১৯৭১ সালের ১৪ জুন সিলেটের বালাগঞ্জের আদিত্যপুরে পাকবাহিনী এক বর্বর গণহত্যা চালায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৪ই জুন ৪টি সাজোয়া যান নিয়ে ২৫-৩০জন পাকিস্তানী সেনা এসে হাজির হয় আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে আদিত্যপুর গ্রামবাসী।
পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর আব্দুল আহাদ চৌধুরী (ছাদ মিয়া), মসরু মিয়াসহ কয়েকজন গ্রামে এসে জানায় সবাইকে নিয়ে স্কুল মাঠে বৈঠক হবে। দেওয়া হবে শান্তি কমিটির কার্ড। কার্ড নিতে আসা গ্রামের পুরুষরা বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হলে পাক সেনারা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে তাঁদের অনেককে। তাঁদের মধ্যে পাক সেনাদের গুলিতে মুহূর্তেই নিস্তেজ হয়ে যায় বেঁধে ফেলা ৬৩টি তাজা প্রাণ। পাক সেনারা সেই দিন মৃত ভেবে ফেলে যায় গুলি লেগে আহত হওয়া শিবপ্রসাদ সেন কংকন নামের একজনকে। সেই কংকন পরে প্রাণে বেঁচে যান ।
এসব হত্যাযজ্ঞ আড়াল করতে ১৭ই জুন রাজাকাররা আবার আদিত্যপুরে এসে গর্ত খুড়ে বিদ্যালয় মাঠে লাশগুলো মাটি চাঁপা দেয়। ২২শে জুন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর নির্দেশে মাটি খুঁড়ে বের করা হয় লাশ। সিলেট সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লাশগুলো বর্তমান গণকবরে (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে) সমাহিত করা হয়।
বালাগঞ্জে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আদিত্যপুর গণকবরে শুক্রবার (১৪জুন) বিকাল তিনটায় বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্বাঞ্জলি প্রদান করা হয়। আদিত্য পুর গণকবরে শ্রদ্বাঞ্জলি প্রদান করেন – বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আনহার মিয়া।বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার কৃপেষ শুক্লবৈদ্য,যুবলীগ নেতা হোছাইন আহমেদ,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদার,যুবলীগ নেতা রাজিব আহমেদ,হারুন মিয়া,শাহজান,ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাদ হুছাইন সহ নেতৃত্বে বৃন্দ।পরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।