চলচ্চিত্রে ৩১ বছর, যা বললেন শাবনূর
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনূর। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমা হলে সিনেমাটি প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও শাবনূরের অভিনয় প্রশংসিত হয়। নির্মাতারা তাকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফলে কয়েক বছরের মাথায় তিনি হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা।
সেই হিসেবে ক্যারিয়ারের বয়স ৩১ হলেও বেশ কয়েক বছর হলো অভিনয়ে খানিকটা বিরতি নিয়েছেন। হয়েছেন প্রবাসী। সন্তানকে নিয়ে বছরের বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়াতেই থাকেন তিনি। তবে সম্প্রতি বিরতি ভেঙে ‘রঙ্গনা’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়য় করেন।
আর চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ নামের আরও একটি ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা শোনা যায়।
ক্যারিয়ারের ৩১ বছর পার করে শাবনূর বললেন, ‘আল্লাহর রহমত ও সবার দোয়ায় চলচ্চিত্রে এখনও যথেষ্ট সম্মান নিয়েই বেঁচে আছি। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পথচলায় এই অঙ্গনের সাথে জড়িত সকল প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান, কলাকুশলীসহ সবার কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। বিশেষ করে আমার ছবির দর্শক ও অগণিত ভক্তদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর।
শুরু ও বর্তমান সময়কে নিয়ে এ তারকা বলেন, ‘নামজাদা চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশাম দাদুর ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর আমার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়েছিল। সবার ভালোবাসায় আজ ৩১ বছর পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’
সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাতেও ভুললেন না এই নায়িকা। বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হবার পর থেকে সর্বক্ষণ উপলব্ধি করছি আমাকে নিয়ে তাদের ভালোবাসা আজও বদলায়নি, বরং বেড়েই চলেছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ভবিষ্যতেও আশাকরি অব্যাহত থাকবে।
আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রতি আপনারা প্রায় সবাই যেভাবে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমাকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন, তার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ। সবার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা, সবার প্রতি অনেক শুভকামনা।’