দীঘির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বাধা নেই!
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
প্রেক্ষাগৃহে বসতে যাচ্ছে বছরের সবচেয়ে বড় বিয়ের আয়োজন। হালের আলোচিত অভিনেত্রী দীঘির বিয়ে বলে কথা! সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। বিয়ের আয়োজনটি প্রেক্ষাগৃহে করার জন্য সার্টিফিকেশন বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলো পরিবারের সদস্যরা। এবার পাওয়া গেল সেটিও। এর ফলে দীঘির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় আর কোনও বাধা রইল না।
অভিনেত্রী দীঘির এই বিয়ে হবে প্রেক্ষাগৃহের বড় পর্দায় অর্থাৎ সিনেমায়। যার নাম ‘৩৬–২৪–৩৬’। ৩০ অক্টোবর বিকেলে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি। জানায় নির্মাতা পক্ষ। এটি মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের একটি সিনেমা।
প্রচলিত আছে, ‘হাজার কথা না হলে নাকি বিয়ে হয় না’। পর্দার বিয়ে হলেও দীঘির ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বড় পর্দায় বধূ বেশে কবে আসছেন দীঘি? তা নিয়ে চলছে নানা পর্যায়ের কথা–বার্তা। অর্থাৎ সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে তা এখনও জানাতে নারাজ এর প্রযোজক রেদওয়ান রনি। তিনি জানান, মুক্তির সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন মাত্রই। শিগগিরই মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।
রেজাউর রহমান, কারিনা কায়সার ও মোনতাসির মান্নানের রচনায় এবং রেজাউর রহমানের পরিচালনায় সিনেমার মূল চরিত্রে প্রার্থনা ফারদীন দীঘি ছাড়াও অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন, কারিনা কায়সার প্রমুখ।
এতে প্রিয়ন্তী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। সিনেমার অধিকাংশ সময় বিয়ের সাজ ও আমেজে দেখা যাবে দীঘিকে।
দীঘি বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব খুশি, খুব ভালো লাগছে। এমন চরিত্র আগে করা হয়নি। যে আয়োজনে কাজটি করেছি, তাতে সিনেমাটি নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। তাই ভালোলাগার পাশাপাশি একটু ভয়ও লাগছে।’
এ সিনেমায় সায়রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন কারিনা কায়সার। তিনি একজন মেধাবী ও সফল ওয়েডিং প্ল্যানার। নতুন বরের ভূমিকায় দেখা যাবে সৈয়দ শাওনকে, তার চরিত্রের নাম তাহসির।
সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীরসহ অনেকে।
এর আগে মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত হয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এবং ‘ফরগেট মি নট’। যার সবগুলোই সরাসরি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
সেজন্যই সমালোচনা উঠেছে এই বলে, ‘৩৬–২৪–৩৬’ ওটিটি কনটেন্ট হয়েও সেটিকে বড় পর্দার সিনেমা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা সিনেমা শিল্পের জন্য ক্ষতিকর চর্চা বলেও মনে করছেন অনেকে।