মালয়েশিয়ায় ফুল-ফান্ডেট স্কলারশিপ পেলেন বড়লেখার নাসিফ মনোয়ার
তাহমীদ ইশাদ রিপন, বড়লেখা প্রতিনিধি
সিলেট মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র নাসিফ মনোয়ার (২০) মালয়েশিয়ার আল বুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের ফেনাগুল গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে।
নাসিফ মনোয়ার রাঙ্গাউঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী ও দক্ষিণভাগ এন সি এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তার এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
নাসিফ মনোয়ারের সহপাঠী এমরান আহমদ বলেন, এই সাফল্য শুধু তাঁর পরিবার নয়, পুরো উপজেলার জন্য গর্বের বিষয়। নাসিফ মনোয়ার ছোটবেলা থেকেই শিক্ষায় অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল, যা তাঁকে কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনুপ্রাণিত করেছে। বড়লেখা উপজেলার একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা নাসিফ কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং মেধার মাধ্যমে এ অর্জন সম্ভব করেছেন।
আরেক সহপাঠী আফজাল হোসেন বলেন, নাসিফ মনোয়ারের এই সুযোগ পাওয়ার পেছনে তাঁর একাডেমিক সাফল্য ছাড়াও সামাজিক ও মানবিক কাজেও অবদানের কথা উল্লেখযোগ্য। স্কলারশিপ প্রক্রিয়ায় তাঁর নেতৃত্বের দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার গভীরতা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
নাসিফ জানিয়েছেন, আল বুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আমার পরিবারের অবদান কখনো ভুলব না। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দেশের জন্য কাজে লাগাতে পারব।
জানা গেছে , মালয়েশিয়ার আলোর সেতার অঞ্চলে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সারা বিশ্বে তার মানবিক শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান এবং বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির শিক্ষার্থীদের একত্রিত করার জন্য বিখ্যাত। এটি দাতব্য প্রকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং গবেষণা সুবিধা প্রদান করে যা ছাত্রদের ভবিষ্যতে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নাসিফের এই সাফল্য তাঁর এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি সকলের শুভকামনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষার যাত্রায় তাঁর সফলতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।