ব্যারিস্টার সুমনের দুই দিনের রিমান্ডে, আদালতে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান বেলা সোয়া ১টায় এ আদেশ দেন।
১টার দিকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে নেওয়া হয়। তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালত ভবনে প্রবেশ করানোর সময় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী তার শাস্তি দাবী করে শ্লোগান দেন।
কয়েকশ’ লোকের ভীর থেকে কয়েকজন ব্যারিস্টার সুমনকে উদ্দেশ্য করে ডিম ও,জুতা নিক্ষেপ করেন। তবে আগে থেকেই পুলিশ আদালতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার ছিল।
আদালতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক এসআই লিটন রায় ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন । বিচারক শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। লিটন রায় জানান নতুনব্রিজ ছাত্রজনতার হামলা মামলায় গত ২৩ অক্টোবর শোন এ্যারেস্টে দেখানো হয় এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে দুই দিনের আবেদন মঞ্জুর হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সৈপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো: নাসির উদ্দিন । এছাড়াও হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকারি ডাকবাংলোয় হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং রাজধানীর বনশ্রীতে আন্দোলনের হামলা মামলায়ও তিনি আসামি।
গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২০ নভেম্বর) তাকে ঢাকার কারাগার থেকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
‘আমি কারাগারে রয়েছি, এতে আমার কোন দুঃখ নেই। আমি চাই বাংলাদেশ ভাল থাকুক, হবিগঞ্জ ভাল থাকুক’ বলে ব্যারিস্টার সুমন প্রতিক্রিয়া জানান। এর আগে তাকে কারাগার আদালতে নেওয়ার খবর পেয়ে চুনারুঘাট উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ জন মধ্যবয়সী নারী ও যুবক সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এবিষয়ে হবিগঞ্জ জর্জ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট হাফিজুল ইসলাম বলেন, ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় আদালত দুই দিনের মঞ্জুর করেন। আমরা এতে খুশি।
হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক মো: জালাল আহমেদ বলেন, খুনি শেখ হাসিনার ধূসর দালাল সুমন ও সাবেক এমপি আবু জাহিরকে জামাই আদরে কোর্টে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আমরা ডান্ডা বেড়ি পড়ে আদালতে হাজিরা দিয়েছে। তাদের জামাই আদরে কোর্টে তোলায় সেটি কিসের ইঙ্গিত বহন করে সেটি আমরা জানতে চাই। হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমরা সুমন ও তার শশুর জাহির সহ সকল হত্যাকারীদের ফাসি চাই।