বহিস্কৃত ওয়ার্ড দলনেত্রীর অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা মামলা
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
বহিস্কৃত হবিগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড দলনেত্রী জোৎনা বেগম জোনাকী কর্তৃক জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী হবিগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত -ই-খোদা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জোৎস্না বেগম জোনাকী দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সাথে জড়িত। শারদীয় দূর্গাপূজা ২০২৪ এর হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সদস্য-সদস্যা বাছাইয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বাছাই কার্যক্রমের দিন আনসার কর্মকর্তাগনের সাথে মনোনীত লোক দেওয়া নেওয়া নিয়ে জোৎস্না আক্তার জোনাকীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২৬ জন ভাতাভুক্ত সদস্য-সদস্যাগণ জোস্না বেগম জোনাকীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ অত্র দপ্তরে দাখিল করেন। অভিযোগের বিষয়টি জোৎস্না বেগম জোনাকী জানতে পেরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার অফিস কক্ষে এসে ভাতা ভুক্ত সদস্য ইলিয়াস আলীকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার হাতে কামড় দিয়ে হাত রক্তাক্ত করেন। পরবর্তীতে ইলিয়াস আলী মাসুক পাল্টা আক্রমণের সচেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খালেদ আহমদ, উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ তানিজন আহমেদ, উপজেলা প্রশিক্ষিকা আকলিমা আক্তার বিউটি, ভিডিপি সদস্য শরিফ আহমদ বকুল, ৯নং ওয়ার্ড দলনেতা আলী নেওয়াজ।
আর্থিক লেনদেনসহ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ইউনিয়ন দলনেতা ইলিয়াস আলীকে রক্তাক্ত করার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক সম্মানীভাতা ভিত্তিক ইউনিয়ন-ওয়ার্ড (পৌর) দলনেতা-দলনেত্রী (স্বেচ্ছাসেবী) নিয়োগ ও অব্যাহতি নীতিমালা-২০২৪ এর পরিশিষ্ট- ‘গ’ এর ক্রমিক নং-১৩ অনুযায়ী ওয়ার্ড দলনেত্রী পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জোৎস্না বেগম জোনাকী তার পদ থেকে অব্যাহতি হওয়ার পর বিভিন্নভাবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে সময়ে অসময়ে কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তার সদস্যরা নির্বাচনের ভাতা পায়নি বলে অভিযোগ করেন। তার লোকজন যারা ভাতা পায়নি তাদেরকে উপস্থিত করতে বললেও অদ্যাবধি তাদের একজনকেও হাজির করতে পারেনি। সে কতগুলো মোবাইল নাম্বার নিয়ে আসে। পরে জোনাকী সরকারী মোবাইল নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে ২১ জনের টাকা পায়নি বলে জানায় ও ভাতা না পেলে তাদেরকে নিয়ে মানববন্ধন করবে বলে হুমকি দেয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ যৌন নিপীড়নের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এটা তার অত্যন্ত নিকৃষ্টতম পর্যায়ের একটি কৌশল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ হবিগঞ্জ (কপি সংযুক্ত) এ দায়েরকৃত মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট। তার এই মিথ্যা মামলার জন্য যারা তাকে ইন্ধন দিয়েছে তারাসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।