মাধবপুরে শিক্ষকের মেয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ সরকারী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মাধবপুরের মেয়ে আভনি ফাতিমা জান্নাত।
রোববার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে মাধবপুরের কমলানগর গ্রামের বাসিন্দা ধর্মঘর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আঃ আলীম এবং শামীমা ইয়াছমিন এর সন্তান আভনি ফাতিমা জান্নাত।
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষক বাবাসহ পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। ছোটবেলা থেকে আভনি ফাতিমা জান্নাত এর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। নিজের চেষ্টা, পরিবারের সদস্যসহ শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় মেধাবী এ শিক্ষার্থী নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারেনি প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী গ্রামঞ্চালে বেড়ে উঠা আভনি ফাতিমা জান্নাত এর শিক্ষাজীবন।
এদিকে চৌমুহনী ইউনিয়ন থেকে মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আভনি ফাতিমা জান্নাত এর পরিবার, তার নিজ গ্রামসহ বইছে আনন্দের বন্যা।
আভনি ফাতিমা জান্নাত বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চান্স পাওয়ায় প্রথমেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার।আর সেই লক্ষ্যে আমি লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি। সরকারি মেডিকেলে চান্স পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যাতে একজন আদর্শবান ডাক্তার হয়ে নিজ গ্রামসহ আমাদের উপজেলার দরিদ্র-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। আমার এই ভালো ফলাফলের পেছনে মা-বাবা ও শিক্ষকদের অবদান অপরিসীম।
মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দে কেঁদেই ফেলেন প্রভাষক আঃ আলীম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের পুরস্কৃত করেছেন। আমাদের মেয়ে যাতে ভালো ডাক্তার হয়ে গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে, সে জন্য সবার দোয়া কামনা করছি।
আভনি ফাতিমা জান্নাত এর মামা চৌমুহনী খুর্শিদ হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মাহবুবুল হাসান জনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আভনি ফাতিমা জান্নাত লেখাপড়ায় ছিল অদম্য মেধাবী। অবশেষে আমাদের পরিবারের সবার প্রচেষ্টা, শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও সর্বোপরি নিজ প্রচেষ্টায় সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
জান্নাত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় চৌমুহনী ইউ/পির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রথমে আমি অভিনন্দন জানাই, এবং তার লালিত স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে ডাক্তার হয়ে যেন দেশের সাধারণ মানুষের সেবা করতে পারেন সেই প্রত্যাশা রাখছি।