এখন কী চান সাবিনারা

দৈনিকসিলেটডেস্ক
সাবিনা খাতুনরা এবার কী করবেন। বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন তারা। প্রথমে ১২ নারী ফুটবলারকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বেতনের আওতায় আনে। এরপর ২৬ ফুটবলারকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বেতন দেবে। কোচ পিটার বাটলার নতুনদের নিয়ে কাজ করছেন। ওদিকে সাবিনারা তাদের অবস্থানে অটল রয়েছেন।
গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়াল এসেছিলেন। লিগ কমিটি নিয়ে আলোচনা ছিল তার। এর ফাঁকে দৌড়ের অনুষ্ঠানে সময় দিয়েছেন।
সাবিনা ও বাকি ১৭ ফুটবলার এক বাক্যে এখনও অটল। তারা পিটার বাটলারের অধীনে খেলবে না। ২ মাস হলো বেতন না পেলেও বাটলার বেশ পেশাদার। তিনি অনুশীলন করিয়ে যাচ্ছেন। সাবিনা কাল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি জানান, অবশ্যই পিটারের অধীনে তারা খেলবেন, তবে সেটার জন্য ২টি বড় শর্ত রয়েছে। আরও দুই বছর সাবিনা অধিনায়ক থাকতে চান। আর খেলতে চান ৯০ মিনিট।
তাবিথ মনে করেন, বাটলার ও সাবিনাদের রিয়ালিটি বোঝা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা দুবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখানে পড়ে থাকলে তো হবে না। আমি এশিয়ান লেভেলে যেতে চাই। সামনে আমাদের সেই সুযোগ রয়েছে। শুধু এশিয়ান লেভেলে গেলে তো হবে না। আমি চাই ওখানেই থাকতে। এক ম্যাচ খেলে চলে আসলাম, এটা আমার চাওয়া না।’
এর আগে বিশেষ কমিটির সঙ্গে বাটলার কথাও বলেছেন। সেখানে বলেন, ‘কমিটি আমার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি পরিষ্কার করে বলেছি- ওরা যা বলছে সেটি ভিত্তিহীন। ওরা ভিকটিম কার্ড খেলছেন। আমি তাদের কোচিং করাব না।’
কোচের বিরুদ্ধে ১৮ জন সিনিয়র ফুটবলার বিদ্রোহী করলেও মূলত সাতজনকেই বড় অপরাধী ভাবছেন পিটার। যদিও তিনি সংখ্যাটা বলেননি। সূত্রে জানা গেছে, এই সাতজনের বিরুদ্ধেই তার যত অভিযোগ। তারা হলেন- অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। ফুটবলারদের শৃঙ্খলহীন উল্লেখ করে বাটলারের স্পষ্ট কথা- ‘বাংলাদেশ দুবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন। কজন নারী বিদেশে লিগ খেলে। বিদেশি লিগে নেই কারণ ডিসিপ্লিন। আমি ইংলিশ ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে জানি। যেটা চলছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী, মারিয়া মান্দা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া বিদেশি লিগে খেলেছেন। কথা শুনে মনে হলো এটা বাটলারের অজানা। বাফুফে ফুটবলারদের কোচের চিঠি নিয়ে একটি কমিটি করেছে। সেই কমিটি তদন্ত করছে।
বাটলারকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তাকে জাতীয় দল থেকে নিয়ে বাফুফে এলিট একাডেমির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এখন তিনি সেই চাকরি করবেন কি না জানা যায়নি।
বাটলার বলেছেন, ‘ওরা আমাকে সম্মান করবে এমনটিই আশা করেছিলাম। আমি আমার দিক থেকে স্বচ্ছ একজন মানুষ। আমি এমন একটি ফুটবল সংস্কৃতি থেকে এসেছি, যেখানে উঁচুমানের ফুটবল হয়। আমরা তারুণ্যে বিশ^াস করি। যেখানে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। কোনোভাবে সমাধান আসছে না ব্যাপারটি নিয়ে। ফলে যেটা হয়েছে যে সবাই বেশ শঙ্কিত।
এর আগে তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেন ব্রিটিশ কোচ বাটলারও। কী কথা হলো তদন্ত কমিটির সঙ্গে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোচের কথা- ‘তারা (তদন্ত কমিটি) জানতে চেয়েছে, আমিও ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি বেশ স্পষ্টভাবে বলেছি- যারা বাফুফে ভবন থেকে ও বাফুফের খাবার খেয়ে বাফুফেতেই ফ্যাক্টবিহীন কথা বলে, আমি তাদের কোচিং করাব না। এ প্রসঙ্গে আমি কয়েকজনের নাম দিয়েছি। সেই কয়েকজন থাকলে আমি কোচিং করাব না। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছে না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা ননসেন্স, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’ কোচের বিরুদ্ধে ১৮ জন সিনিয়র ফুটবলার বিদ্রোহী করলেও মূলত সাতজনকেই বড় অপরাধী ভাবছেন পিটার। যদিও তিনি সংখ্যাটা বলেননি।
সূত্র:আমাদেরসময়