মুশফিকের কাছে যা চাইলেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক :
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খারাপ পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ দলের বিদায়ের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের বিষয়ে। অবশেষে বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১১টার পর ফেসবুকে নিজের ভ্যারিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে পরিচিত মুশফিকুর রহিম।
এদিকে মুশফিকের অবসরের পর মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উদ্দেশে বার্তা দেন তার অনেকদিনের বন্ধু ও সতীর্থ তামিম ইকবাল।
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় স্মৃতিচারণ করেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে মুশফিকের কাছে সাদা পোশাকে আরও বেশি কিছু চান তামিম। অবসরের সিদ্ধান্ত মুশফিকের জন্য অনেক কঠিন ছিল, জানিয়ে তামিম বলেন, ‘খেলা ছেড়ে দেয়া ওর জন্য কতটা কষ্ট, আমি ওর কাছের বন্ধু তাই বুঝতে পারি। এটা ওর জন্য অনেক কঠিন।’
মুশফিকের কাছে তামিমের দাবি তিনি যেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়েন। টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি থেকে এখনও ৬ ম্যাচ দূরে আছেন মুশফিক। তামিম বলেন, ‘এখনও তুই একটা ফরম্যাট খেলবি। আমি দোয়া করি তুই ভালো করবি। একশ টেস্ট অন্তত খেলবি যা দেশের কেউ করেনি। আশা করি একশ টেস্ট খেলবি। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ। বাংলাদেশ তোকে মিস করবে, কোনো দ্বিধা নেই।’
খেলার প্রতি মুশফিকের ডেডিকেশন নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক সময় হাসাহাসি করি যে এত কষ্ট করে কীভাবে বা তার ডেডিকেশন খেলার প্রতি, ভালোবাসা। এটা কথায় কোনো দিন বোঝাতে পারব না। আজকে ওর খেলা ছেড়ে দেয়া কত কষ্টকর আমি যেহেতু ওর কাছের একজন বন্ধু আমি এই জিনিসটা ফিল করতে পারি। যে এটা খুব কঠিন তার জন্য। একটা ফরম্যাটে ক্রিকেটার হিসেবে তো আমি এটা আশা করব যে ১০০তম টেস্ট অবশ্যই খেলবি তুই।’
উল্লেখ্য, মুশফিকুর রহিমের অবসরের ঘোষণা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মুশফিকের। ক্যারিয়ারের সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি ২৭৪ ম্যাচে ২৫৬ ইনিংসে তিনি ৭ হাজার ৭৯৫ রান করেন। তার সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে রয়েছেন ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ১৪৪ রানটি এসেছিল ২০১৮ এশিয়া কাপে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা এক ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়।
উইকেটের পেছনে ভূমিকার জন্য নন্দিত হয়েছেন যেমন, বহুবার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। তিনি এই ফরম্যাট ছাড়ার আগে নামের পাশে রেখে যাচ্ছেন ২৪৩টি ক্যাচ, আর ৫৬টি স্টাম্পিং।