ওজন কমাতে উল্টো হাঁটুন কয়েক মিনিট

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সকালের শুরু যদি হয় হালকা হাঁটাহাঁটি দিয়ে, শরীর-মন দুটোই থাকে সতেজ। কিন্তু শুধু সামনে হাঁটা নয়, চিকিৎসকরা বলছেন—উল্টো হাঁটাও (রেট্রো ওয়াকিং) হতে পারে দারুণ একটি ব্যায়াম। এতে যেমন শরীরের ভারসাম্য বাড়ে, তেমনই উপকার হয় হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, পেশি এমনকি মস্তিষ্কেরও। চলুন, জেনে নিই পিছন দিকে হাঁটার কিছু উপকারিতা।
শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে
সামনে হাঁটার তুলনায়, পিছনে হাঁটা শরীরকে নতুনভাবে কাজ করতে বাধ্য করে। এতে পায়ের পেশি ও মস্তিষ্ক একসাথে সক্রিয় হয়, যা বয়সকালে ভারসাম্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
ক্যালোরি খরচ বেশি হয়
গবেষণায় দেখা গেছে, উল্টো হাঁটার চেয়ে সামনে হাঁটার তুলনায় বেশি শক্তি লাগে। ফলে ওজন কমাতে চাইলে এই হাঁটা হতে পারে বাড়তি সহায়তা।
মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়
পিছনে হাঁটার সময় বেশি মনোযোগ দিতে হয়, তাই এটি মস্তিষ্কের ব্যায়াম হিসেবেও কাজ করে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
অস্থিসন্ধির ওপর চাপ কম পড়ে
যারা হাঁটু বা জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন, তাদের জন্য এই ব্যায়াম তুলনামূলক নিরাপদ। কারণ এতে জয়েন্টে কম চাপ পড়ে।
কীভাবে শুরু করবেন?
১। ব্যায়ামের শুরুতে নিরাপদ ও সমতল জায়গা বেছে নিন। যেমন পার্ক বা মাঠ।
২। প্রথমে কয়েক পা করে ধীরে ধীরে শুরু করুন, তারপর সময় বাড়ান।
৩। রাস্তা বা অসমান জমিতে না হাঁটাই ভালো। এতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উল্টো হাঁটা শুধু মজার অভিজ্ঞতা নয়, বরং পুরো শরীর-মন সুস্থ রাখতে দারুণ একটি উপায়। একঘেয়ে শরীরচর্চার মাঝে আনতে পারেন নতুনত্ব। দিনে কয়েক মিনিট করে পিছনে হাঁটুন, উপকার নিজেই টের পাবেন।সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া