জৈন্তাপুরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম পর্যটন স্পট ডিবিরহাওড় লালশাপলা বিল এলাকা সংলগ্ন ডিবিরহাওড় মৌজার খাস জমিতে সুপারী গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে মৌজায় ১৩ দশমিক ৬৯ একর খাস জমিতে মোট ছয় হাজার সুপারী গাছের চারা রোপন করা হবে।
এসময় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণা সরকার, উপ-পরিচালক(উপসচিব), স্থানীয় সরকার, সিলেট , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আনোয়ার উজ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যাবস্হাপনা) পদ্মসন সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারজানা আক্তার মিতা, সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহকারী কমিশনার তমালিকা পাল, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী, জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার লাবনী, সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সারী বিট রেঞ্জের কর্মকর্তা সহ স্হানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও অতিথিবৃন্দ সহ নতুন করে ৬ হাজার সুপারী গাছের চারা রোপনের প্রস্তুতকৃত স্হানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে লাল শাপলাবিল এলাকায় সবুজের সমারোহ বৃদ্ধিতে তরুছাড়া বৃক্ষরোপন প্রকল্পের অন্যতম সমন্বয়ক সাংবাদিক রেজওয়ান করিম সাব্বির ডিবিরহাওড় লালশাপলা বিল এলাকায় রোপিত গাছগুলোর পরিচর্যা, সীমাবদ্ধতা, সামাজিক বনায়ন বিবিধ বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ২ লক্ষ চারা রোপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজকে জৈন্তাপুরে চারা রোপন শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতি উপজেলায় ১০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার গাছের চারা ইতিমধ্যে রোপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যাক্রমে তা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি গাছ একটি সৈনিকের মতো, এই প্রকল্প আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, খাস জমিকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়নের এই উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী উদাহরণ।
তিনি আরো বলেন ডিবিরহাওড় লালশাপলা বিল নিয়ে জেলা প্রশাসনের সূদুর প্রসারি চিন্তাভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে শাপলা বিলের রাস্তা প্রসস্তকরণ, পর্যটকদের জন্য রেষ্টরুম সহ বিভিন্ন ফেসিলিটি বাড়ানের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।