নদীর নাব্যতা রক্ষা, মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা চাই
খাসিয়ামারা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শাহজালাল কনস্ট্রাশনের অধিনে খাসিয়ামারা বালুমহাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর)বিকেলে পূর্ববাংলাবাজার ইউনিয়নের হকনগর বাঁশতলা শহীদ মিনার এলাকায় রেস্ট হাউসে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান, ইজারাদার হারুন অর রশিদ,ও প্রবাসী মুর্শেদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে খাসিয়ামারা বালু মহালের ইজারাদার হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা পহেলা বৈশাখ থেকে এক বছর মেয়াদে খাসিয়ারা নদী ইজারা এনেছি। এখন খাসিয়ারা নদী ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই নদীর নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। এই জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করা জরুরি প্রয়োজন।এই খাসিয়ামারা নদীর বালু মহাল সৃষ্টি হওয়ায় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক এই নদী পরিদর্শন করায় নদীর দুই তীরে স্থায়ী বেরীবাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবোকে নির্দেশনা দেন। পাউবো এই বাঁধ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সাথে লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
মুর্শেদ আলম বলেন, কৃষিকাজ করার সুবিধার্থে পানি সংরক্ষণে রাবার ড্যাম সংস্কার করে রাবার প্রতিস্থাপন করা হবে। এই জন্য রাবার ড্যাম নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। খাসিয়ামারা নদী ইজারা মানে বালু উত্তোলন করে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বালু উত্তোলন হলে নদীর তীরের এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা চাই এলাকার উন্নয়ন এবং এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের উন্নয়ন। এই জন্য আমরা সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাই।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছদরুল আলম সোহান, জামাল উদ্দিন ও প্রবাসী রশিদ আহমদ, রোয়াব আলী, মনির মিয়া, আবু হানিফ, মোতালিব মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নাসির মিয়া, শফিক মিয়া, আবিদ মিয়া প্রমূখ।