চুনারুঘাটে পৌর ছাত্রদলের তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারের সন্তান হয়েও দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তিন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে চুনারুঘাট পৌর ছাত্রদল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চুনারুঘাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহ প্রান্তর উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল সিদ্দিকী, চুনারুঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফা কামাল রিদয়, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শামসুজ্জামান সিপাত, তাসিন জুবায়ের, পৌর ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সংবর্ধিত শিক্ষার্থীরা হলেন- নালুয়া চাবাগানের প্রতাপ উড়াং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী; আমু চাবাগানের তীর্থ মালাকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অমিত বাড়াইক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহ প্রান্ত বলেন, চা-বাগানের সন্তানরা আজ দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে- এটাই আমাদের সমাজের প্রকৃত পরিবর্তনের প্রতীক। প্রতাপ, তীর্থ ও অমিত শুধু পরিবারের নয়, পুরো এলাকার গর্ব। ছাত্রদল সবসময় এই তরুণ প্রজন্মের পাশে থাকবে। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল সিদ্দিকী বলেন, চা-বাগানের এই সন্তানরা দেখিয়ে দিয়েছে-পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা থাকলে সফলতা আসবেই। তারা শুধু তাদের পরিবারের নয়, চুনারুঘাটের গর্ব। ছাত্রদল বিশ্বাস করে, শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। আমরা সবসময় এমন মেধাবীদের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জোগাতে চাই। প্রতাপ উড়াং বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কিছু করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ভবিষ্যতে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। তীর্থ মালাকার বলেন, আমাদের সমাজে শিক্ষা পাওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বাবা-মায়ের ত্যাগের ফলেই আজ আমি এখানে। ভবিষ্যতে পুলিশ ক্যাডারে গিয়ে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই।
অমিত বাড়াইক বলেন, এই সম্মান আমার পড়াশোনার প্রেরণা আরও বাড়িয়ে দিল। চা-বাগানের সন্তান হয়েও আমরা পারি-এটা প্রমাণ করতে চাই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, পৌর ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্থানীয় তরুণরা। শেষে সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা সনদ ও উপহার তুলে দেন আয়োজকরা।