পাইলস হলে যা করতে হবে
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:পাইলস বা হেমোরয়েডস- একটি পরিচিত রোগের নাম। পাইলস বলতে মলদ্বারের আশপাশের রক্তনালী ফুলে ব্যথার সৃষ্টি হওয়াকে বোঝায়। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরেও হতে পারে। অসহ্যকর ও অসহনীয় এই রোগ হলে চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়।
তবে, লজ্জার কারণে অনেকে এ রোগের কথা প্রকাশ করেন না। ফলে দিনের পর দিন বয়ে বেড়ান যন্ত্রণাকর এই ব্যধিটি।
পাইলসে আক্রান্ত ব্যক্তি মলত্যাগের সময় ব্যথা ছাড়া বা ব্যথাযুক্ত রক্তক্ষরণের শিকার হন। এছাড়া ব্যথা, ঘা হয়ে পুঁজ জমা, মলদ্বারে পচন ধরা, মলদ্বার সরু হয়ে যাওয়া, মলদ্বার বেরিয়ে আসা ও মলাশয়ের ক্যানসারের আশংকাও থাকে।
কারণ : সাধারণত আমাদের লাইফস্টাইলের কারণে পাইলস রোগটি হয়ে থাকে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
* নিয়মিত শাক-সবজি বা কম আঁশযুক্ত খাবার না খেলে বা পানি কম পান করলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়। আর দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যে ভুগলে পাইলস হতে পারে।
* পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা পাইলসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
* গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকের পাইলস রোগটি দেখা দেয়। শিশুর গ্রোথের সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়লে নারীর পাইলস হতে পারে।
* ফ্যাটি ও হাই প্লোটিনযুক্ত খাবার যেমন : গরুর মাংস, পনির, মাখন, ফ্রাইড, চকোলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খেলে পাইলস হতে পারে।
* অতিরিক্ত ওজনের কারণেও পাইলস হতে পারে।
চিকিৎসা : রোগের তীব্রতার ওপর পাইলসের চিকিৎসা নির্ভর করে। প্রথমিক অবস্থায় ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক মলম সাপোজিটরি ও অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়। যদি পাইলস বেরিয়ে আসে বা জটিলতা দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অপারেশন করানোই ভালো।
প্রতিরোধে পরামর্শ :
* প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জি ফলমূল আঁশযুক্ত খাবার যেমন : লাল আটা, লাল চাল গ্রহণ করুন। সারা দিনের কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশের অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।
* অস্বাস্থ্যকর ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
* দৈনিক তিন লিটার পানি পান করা।
* নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করতে হবে।
* নিয়মিত ৬-৭ ঘন্টা ঘুমানো।
* সঠিক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করাতে হবে। এছাড়া কমোড ব্যবহার করা যেতে পারে।
* শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রয়োজনে প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা।