বেলজিয়ামের লিয়াজে বৈশাখী উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
দৈনিক সিলেট ডট কম
ব্রাসেলস, বেলজিয়াম :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেলজিয়ামের লিয়াজে বৈশাখী উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিয়াজ বাংলাদেশী কমিউনিটির আয়োজনে গত রবিবার স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে এই বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাসেলস এন্টারপেনও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কমিউনিটি নেতা সাইদুর রহমান লিটন।সানুয়ার আলী সানুর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এসময় বক্তব্য রাখেন খলিল ইব্রাহীম, নাসির উদ্দিন,নূর ইসলাম,মনোয়ার আলী মুন্না, ফারুক রানা, আহমেদ তাজু, মিজান,তপন রায়,সাইফুল ইসলাম মঞ্জু,খোকন শীল,আমির আলী, ফরিদ সরকার, শাহ্জাহান আহমেদ, হাবিবুল ভুইয়ান সোহাগ, জসিম মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম, বাচ্ছু,হুসেইন বাবু,মামুন,আক্কাস, জুয়েল খান,আব্দুল মান্নান,সাইফুল ইসলাম, মহিবুর আলম পংকি, তাহের খান,মইনুর রহমান মিলন, আলি ওমর, আরজু মহাম্মেদ,চয়ন রায়, মতিউর আহমেদ, নোমান মিয়া,তাঞ্জিন আহমেদ আপন, মাহবুব মিয়া সহ সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
উৎসবে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের নাচ-গান আয়োজনকে করে তুলেছিল আনন্দময়। বৈশাখী সাজে সজ্জিত বেলজিয়াম প্রবাসী বাঙালি নারীদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই মগ্ন ছিলেন উৎসবে। নাচ, গান, কবিতা সবকিছু মিলিয়ে পুরু অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।
ফ্রান্স প্রবাসী শিল্পী সুমা দাসের একের পর এক দেশীয় গান অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত। অসংখ্য গান, নৃত্য, আবৃতি, কৌতুকসহ সবকিছু যেন সবাইকে হারিয়ে দিয়েছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশি খাবারের ব্যাপক আয়োজন।
বাঙালি কমিউনিটির সকল দল ও মতের প্রায় সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি বছর অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করেন এই উৎসবের জন্য। তারা জানান, এই আয়োজন অরাজনৈতিক হওয়ায় তারা সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ফলে এটি একটি বার্ষিক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন করে পথচলার উদ্দীপনা। নতুন করে ভালোবাসতে শেখায় দেশকে এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে, এমনটাই বলছিলেন অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।