প্রেমিকের বাড়িতে ইউপি মেম্বর প্রিয়সীর আমরণ অনশন

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:দুই সন্তানের মা, ত্রিশ বছর বয়সী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নাজমিন সুলতানা প্রিয়সী। প্রেমিকের জন্য স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। এখন প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন করছেন তিনি। দাবি, প্রেমিকের স্ত্রীর স্বীকৃতি! ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নে।
প্রিয়সী সুয়াপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য। প্রেমিক ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম পলাশ। বয়স তেইশ। তিনি একই ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। স্বামী সন্তান রেখে প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে গত দুইদিন ধরে অনশন করছেন এই নারী। বিয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আব্দুল আলিম পলাশের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে প্রেম করে আসছিলেন নাজমিন সুলতানা প্রিয়সী। ওইসময় প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামী সন্তান রেখে তার সঙ্গে প্রিয়সীর অভিসার শুরু। পরে পলাশ তাকে তার স্বামী পিন্টু মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করে দেন। সেই বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন পলাশ। তাদের মধ্যে দৈহিক সর্ম্পক তৈরি হয় বলে জানান অনশনকারী নারী সদস্য।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, পলাশ আমাকে গত ২০ এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেছে। আমি তার কথায় গত তিন মাস আগে আগের স্বামী পিন্টুকে তালাক দিয়েছি। এখন কেন পলাশ ও তার পরিবার আমাকে মেনে নিচ্ছে না।
তিনি অরোও বলেন, ‘আমাকে তারা মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করব। আর তা না হলে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়া ছাড়া আমার কোন উপায় থাকবে না।’
আব্দুল আলিম পলাশের চাচা চান মিয়া বলেন, ‘আমার ভাতিজা বিয়ে করে থাকলে প্রিয়সীকে পলাশের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়া হবে। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।’ এদিকে, আব্দুল আলিম পলাশ বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। তবে, প্রিয়সীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ও ধামরাই বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম দিপু বলেন, এই ঘটনার এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্র:এমটিনিউজ