যৌন সহিংসতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ

দৈনিক সিলেট ডট কম
এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে : “বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় ও অ-রাষ্ট্রীয় অপশক্তির দ্বারা সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের কৌশল হিসাবে যৌন সহিংসতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার তীব্র নিন্দা জানায়” । জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ১৬ মে মঙ্গলবার ‘যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের কৌশল হিসাবে যৌন সহিংসতা’ বিষয়ক এক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মা-বোনদের উপর নজীরবিহীন যৌন সহিংসতা চালানো হয়েছিল। ২ লাখ মা-বোন এই ভয়াবাহ নির্যাতনের শিকার হন”।
সন্ত্রাসবাদের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “ইদানিং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা সন্ত্রাসী ও সহিংস চরমপন্থীদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। চরমপন্থিরা সন্ত্রাসী কাজে নারী ও শিশুদের ব্যবহার করছে যার বেশিরভাগই তাদের পরিবারের সদস্য”।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল নারী ও মাকে তাঁদের পরিবারে শান্তির সুরক্ষাকারী হিসেবে এবং সহিংস চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন”।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ’ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কাযর্ক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “আমরা আমাদের শান্তিরক্ষীদের যৌন সহিংসতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি এবং এ বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্টে নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করছি। স্থানীয় জনগণ ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রেখে সকলে মিলে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতেও আমাদের শান্তিরক্ষী ও সেক্টর কমান্ডারদের আমরা উৎসাহিত করে থাকি”।
নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মে মাসের প্রেসিডেন্ট উরুগুয়ে এই মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রুশ ফেডারেশন, জার্মানি, ভারত ও জাপানসহ ৬৮টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে।