বিয়ের একদিন পরই নববধূর সন্তান প্রসব!
দৈনিক সিলেট ডট কম
বাগেরহাট: জেলার মোরেলগঞ্জে সেই ৫ম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর ১ দিন পরই সন্তান প্রসব করেছেন কনে সোনিয়া আক্তার। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি কন্যা-সন্তান প্রসব করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাসভবনে ডেকে নিয়ে ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা সোনিয়াকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল হাসিব মাল নামের ১২ বছরের ৫ম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিয়ের একদিনের মাথায় সন্তান প্রসবের খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সকাল থেকেই এলাকার লোকজন ভিড় করছেন নবজাতককে একনজর দেখার জন্য।
এদিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে না পারায় বিয়ের কাবিননামা বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাজী আলতাফ হোসেন।
অন্যদিকে কথিত বর উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে হাসিব এ বিয়ে ও সন্তান কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছেন না।
হাসিবের দিনমজুর পিতা বলেন, আমি গরিব মানুষ। মামলা চালানোর সামর্থ্য নেই। স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিয়ে মেনে নিয়েছি। ২ মাস আগে একটি সালিশি বৈঠকে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ইউপি সদস্য মো. আলম মৃধা। ওই টাকা দিতে না পারায় সোনিয়াকে আমার শিশু ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
বর হাসিব মাল শুক্রবার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার ভাইঝি সম্পর্কে ওই মেয়ের কাছে অনেকেই আসা যাওয়া করতো। আমি এরকম ৭/৮ জনকে চিনি। ঘটনাটি অন্যায়ভাবে আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। সোনিয়ার গর্ভের সন্তানের দায় আমি কেন নেব? আমি তো লেখাপড়া করছি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণী সোনিয়াকে বিয়ে দেয়া হয় ৫ম শ্রেণির ছাত্র হাসিবের সাথে। নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চুর নির্দেশে কাজী আলতাফ হোসেন বিয়ে পড়ান। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাবিননামাতে স্বাক্ষর নেয়া হয় অনেকের।
এ ব্যাপারে কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, আমার দপ্তরের ২৬ নম্বর রেজিষ্ট্রারের ৯৬ নম্বর পৃষ্ঠায় সোনিয়া ও হাসিবের বিয়ের তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে না পারায় ওই কাবিননামা বাতিল করা হয়েছে।