শিশু কিশোরদের টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজবে কান দিবেন না
শিশু কিশোরদের টাইফয়েড টিকা দিতে গিয়ে কোন প্রকারের গুজবে কান দিবেন না ও সচেতন নাগরিক হিসেবে সময় মত টাইফয়েড টিকা প্রদানে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের সমন্বয়ক ডা: রাজেশ সিংহ।
তিনি বলেন, এই টিকায় কোনো ক্ষতি হবে না, উপকার হবে। সুনামগঞ্জ সদরে ৪৭ হাজার ৭৪ জনকে টীকা প্রদানের টার্গেট করা হলেও এখন পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ৩২ হাজার ২২৭ জন। অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। সবাই সবার নিজ নিজ অবস্থা থেকে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আহবান জানান।
তিনি সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টাইয়েড টীকা বিষয়ক কর্মশালায় এ কথাগুলো বলেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ও সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন, জেলা তথ্য কার্যালয়ের উপ পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য দেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়ক) ডালিয়া ইয়াসমিন, সুনামগঞ্জ ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন, ইউনিসেফর তানভীর ইসলাম, ডা. শতাব্দী ভট্রাচার্য্য প্রমুখ।
ডা. রাজেশ সিংহ আরও বলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্তের হার বাংলাদেশে অনেক বেশি। The Global Burden Of Disease এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪,৭৮,০০০ জন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং ৮,০০০ জন মৃত্যু বরণ করে যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু। টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফ (S.Typhi) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ।
টিসিভি টীকা অত্যান্ত নিরাপদ ও কার্যকর একটি টীকা। এই টীকা নারীর গর্ভকালীন জটিলতা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস কিংবা সন্তান ধারণে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনা বরং টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষিত রাখে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর কম বয়সী শিশুদের ০১ ডোজ টীকা হয়ে থাকে। তবে ১৫ বছরের অধিক বয়সী যেকোন ব্যক্তি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজ ব্যবস্থাপনায় এই টীকা গ্রহণ করতে পারবে।







