থানায় মামলা
সাতছড়ি উদ্যানে গাছ চুরির আলামত নিতে গিয়ে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সেগুন গাছ চুরির প্রমাণ সংগ্রহ করতে গেলে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনার পর রাতেই ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন-দৈনিক কালবেলা এর মাধবপুর প্রতিনিধি মুজাহিদ মসি এবং বাংলা টাইমস ও হবিগঞ্জের আয়না পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ত্রিপুরারি দেবনাথ।
অভিযোগে বলা হয়, প্রায় এক মাস আগে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২০ লাখ টাকার চারটি বড় সেগুন গাছ পাচার করা হয়। এর আলামত সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া, সংবাদ প্রকাশ করলে পাল্টা মামলার হুমকিও দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, বন থেকে গাছ পাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং পূর্বেও এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের কারণে কর্মকর্তাদের ক্ষোভ ছিল।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নূর আলম বলেন, “সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বনকর্মীরাও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শামিমা বেগম। তিনি হামলার শিকার দুই সাংবাদিকের বক্তব্য নেন। এসময় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যুগ্ম সচিব বলেন, সেগুন গাছ চুরি এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেটের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা দুঃখজনক। তদন্তের পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।








