আমও গেলো ছালাও গেলো তৃণমূল বিএনপির
রাজনীতিতে দলভাঙ্গন, দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা কিংবা উপদলীয় কোন্দল নতুন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মুল দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে কেউ রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। সময়ের ব্যবধানে একটি দলের উত্থান পতন হতে পারে।
বাংলাদেশের চারটি প্রধান দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই দলগুলো নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখনও টিকে আছে এবং থাকবে।
১৯৭৫ সালের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে ঘাতক এবং তাদের সহযোগিরা ভেবে ছিলো আওয়ামীলীগকে তারা নি:শেষ করে ফেলেছে। এই চক্রের প্রত্যক্ষ মদদে তখন আওয়ামীলীগকে ভেঙ্গে তিন টুকরো করা হলেও মুল আওয়ামীলীগ এখনও টিকে আছে এবং দীর্ঘ দিন থেকে ক্ষমতায় আছে। মহান স্বাধীনতার পর জামায়াত ভেঙ্গে আইডিএল হলো, এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায়ই জাতীয়পার্টি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো করা হলো কিন্তু মূল জামায়াত এবং জাতীয় পার্টি টিকে আছে।
সুতরাং মুল দল থেকে বের হয়ে নতুন দল করে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে অবস্থান করা যে সহজ নয় তা আবারো প্রমান হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলাদেশের মানুষ দলছুটদের কখনও পছন্দ করে না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে বহিস্কৃত নেতা বারিষ্টার নাজুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপি নামে একটি দল গঠন করে মারা যান। পরবর্তিতে এই দলের হাল ধরেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত শমসের মবিন এবং তৈমুর আলম খন্দকার। তারা আশা করেছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা সংসদের প্রধান বিরোধী দল হবেন। এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছি কিংস পার্টি খ্যাত তৃণমূল বিএনপি। তারা ভেবে ছিলো খালি মাঠে তারা গোল দিতে পারবেন। হঠাৎ করেই নির্বাচন পূর্বে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিয়ে মাঠে এসে ফোকাসে আসে দলটি।
বিএনপির নামের সাথে মিল রেখে গঠন করাএই দলটিকে দেশের মানুষ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সবকয়টি আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থী থাকলেও জয়ের মুখ দেখেননি দলটির কোনো প্রার্থী।
তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে এসে শুধু পরাজিতই হননি বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের জামানত।
মানুষের মুখে মুখে এখন একটি শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে আমও গেলো ছালাও গেলো তৃণমূল বিএনপির।








