কোম্পানীগঞ্জে আলম চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং ইসলামপুর পুর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ইউনিয়নের জনসাধারণের আয়োজনে ১৭ আগস্ট বিকেলে রাজনগর নতুন বাজারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আলমগীর আলম এই এলাকার একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ধলাই সেতু রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে সাদাপাথর ও ধলাই সেতু রক্ষায় জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় দীর্ঘতম এম সাইফুর রহমান সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়লেও প্রতিবাদ করায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী লুটেরা চক্রের আক্রোশে পড়েন। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন খনিজ সম্পদে লুটেরাদের চোখ পড়ে। এ সময় আলমগীর আলম সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকাবাসীকে নিয়ে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ফলে লুটেরা চক্র তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।’
গণমাধ্যমে আলমগীর আলমকে ‘সাদাপাথর লুট মামলায় গ্রেপ্তার’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন সময়ের মিথ্যা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আরোও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আলমগীর আলম কখনো লুটপাটে জড়িত ছিলেন না, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তিনি ছিলেন অগ্রণী কণ্ঠস্বর।’ বক্তারা বলেন, পাথর লুট নয় বরং ধলাই সেতু রক্ষার জন্য আন্দোলন করায় তিনি গ্রেফতার হন। অবিলম্বে চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আনোয়ার শাহ কোম্পানীগঞ্জী, মনিরুল ইসলাম, মধু সরকার, আনিসুর রহমান, উবায়দুল হক, আব্দুল মান্নান, মখলিছুর রহমান, ইব্রাহিম মেম্বার, সাহেরা খাতুন প্রমুখ।







