টাংগুয়ার হাওরে ভোগান্তির শিকার হয়ে ভোক্তা অধিকারে এক পর্যটকের মামলা
টাংগুয়ার হাওরে প্রশান্তি নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়ে হাওরের সুলতান ৪ নামে এক হাউসবোট কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে মামলা করেছেন মাহাবুর আলম সোহাগ নামে ঢাকার এক পর্যটক।
গত ২৬ জুলাই ভোক্তা অধিকারে মামলা করেন তিনি। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৬ আগষ্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচাল দেবানন্দ সিনহা বলে জানা গেছে।
পর্যটক মাহাবুর আলম সোহাগ এর মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, তিনজনের জন্য রুম বুকিং এবং টাকা প্রদান করার পরও দুইজন থাকার এক বেডের একটা রুম দেয়। যেখানে কোনো ভাবেই তিনজন থাকার অবস্থা ছিল না। বার বার সেখানকার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারকে বিষয়টি বললেও তিনি গুরুত্ব দেননি। অথচ পাশের রুমই ছিল একটা সিঙ্গেল ও ডাবল বেডের রুম। সেটা আরেক জনকে দিয়েছেন, কিন্তু আমাকে দেন নি। একাধিকবার অনুরোধ করলেও সেখানকার ম্যানেজার সেলিম প্রসঙ্গ এড়িয়ে আমাকে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ঢাকায় তার এজেন্ট অফিসকে জানালেও তারাও এ ব্যাপারে সমাধান দিতে পারেননি। দুই দিন কষ্ট করে এক বিছানায় তিনজন শেয়ার করে থাকতে হয়েছে। এখানে একজন ভোক্তা হিসেবে আমার সঙ্গে ব্যাপক প্রতারণা করেছে বোট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বোটের ম্যানেজার সেলিম সেখানে আমার প্রাইভেসি নষ্ট করেছে। ২৩ জুলাই দুপুরে হাওরের সুলতান-৪ এর এমডি রুহুল আমিনকে (01671848377) মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। তিনি দেখবেন বলে আর কিছু জানাননি।এছাড়াও বোটে যেসব খাওয়া দাওয়ার তালিকা তারা প্রচার করে থাকে সেগুলোর বেশির ভাগেই গড়মিল ছিল।
এবিষয়ে অভিযোগকারী মাহাবুব রহমান সোহাগ জানান,টাংগুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে প্রশান্তির জায়গায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে হাওরের সুলতান-৪ এর দায়িত্বে থাকা লোকজনের জন্য। তাই এ বিষয়ে হাউসবোট কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে মামলা করেছি। যেন ভবিষ্যৎ এমন আর ঘটনা না ঘটে।
অভিযোগের বিষয়ে হাওরের সুলতান-৪ এর এমডি রুহুল আমিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঢাকার এজেন্টকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ হাউসবোট এসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







