বানিয়াচংয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইসমাইল রহমান, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব, উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মখলিছুর রহমান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহির হোসাইন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদাল হোসেন খান, মাওলানা আব্দুল জলীল ইউসুফী, মাওলানা আতাউর রহমান, মুফতি আমির আহমদ, মাওলানা ওলি আহমদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাধব রায় ও সাধারণ সম্পাদক নুপুর কুমার দেবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এ উৎসবকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের চিত্র ফুটে ওঠে। তাই সুষ্ঠু পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলায় মোট ১১৮টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টহল দল সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে কাজ করবে। পূজা মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থানপথে আলোকসজ্জা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় ইউএনও মাহমুদা বেগম সাথী বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।”
এ সময় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব বলেন, “বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হলো, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে এ উৎসবকে আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করা।”
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাধব রায় ও সাধারণ সম্পাদক নুপুর কুমার দেব প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে নিরাপত্তা কাজে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।