শ্রীমঙ্গলে বালু তোলার প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
শ্রীমঙ্গলে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। আর ওই অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী সুবিধাবাদী জুবায়ের আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। উত্তর ভাড়াউড়া এলাকার বাসিন্দা, সাবেক পৌর কাউন্সিল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মো. ছাইদ মিয়া বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
ছাইদ মিয়া জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আকরাম খান এর ভাতিজি জামাই পরিচয়ে জুবায়ের ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের বিগত ১৬ বছর বালু উত্তোলন করে সরকারী রাস্তা ঘাট, ব্রীজ, রাস্তার গাইড ওয়াল, মসজিদ-মন্দিরসহ অবকাঠামো ধ্বংস করে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। সম্প্রতি এ ছড়া ইজারা দেয়া হলে জুবায়ের ২৪ এর ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ তাকে কোনদিন বিএনপির রাজনীতি করতে দেখিনি। জুবায়ের ওই ছড়ার ইজারাদার আলকাছ কমিশনারের কাছ থেকে সাব ইজারা এনে পরিবেশের কোন নিয়ম-কানুন না মেনে গায়ের জোরে মানুষ ও সরকারের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এ নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় এলাকাবাসী উজারা বাতিলের দাবীতে এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এর পর জুবায়ের আমার ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে ‘মানব সমাজ’ নামে একটি পত্রিকায় বক্তব্য দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করে। ছায়েদ মিয়া বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এ ধরনের সুযোগ সন্ধানী আওয়ামী দোসর জুবায়েরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে কামাল মিয়া, আছাদ মিয়াসহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রাজু আহমেদ-জুবায়েরকে তাদের কমিটির সদস্য বলে স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সেখানে কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার নিরিক্ষা করতে এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।