বিশ্বনাথে লুনা ও হুমায়ূন কবিরপন্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই প্রার্থী—তাহসিনা রুশদীর লুনা ও হুমায়ূন কবির—সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে পৌরশহরের বাসিয়া সেতু ও থানার গেইটসংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে।
সংঘর্ষে যুবদল নেতা আব্দুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা মিনহাজসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় ও সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
সংঘর্ষের সময় বিশ্বনাথ পৌর এলাকার নতুন বাজার ও পুরান বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই লুনা ও হুমায়ূন কবিরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকেলে হুমায়ূন কবির দৌলতপুর ইউনিয়নে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ শেষে বাসিয়া সেতুর কাছে মিছিল করার সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাকবিতণ্ডা হয়।
রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষ আবারো মুখোমুখি হয়—লুনা সমর্থকরা অবস্থান নেন নতুন বাজার এলাকায়, অপরদিকে হুমায়ূন কবিরের সমর্থকরা জড়ো হন পুরান বাজারে। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা, যা দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়। ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন, সাধারণ মানুষও নিরাপত্তার জন্য এলাকা ত্যাগ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম (সেবা) বলেন,
“সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে, তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের মতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-২ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ তারই প্রকাশ বলে তারা মনে করেন।