১ মাসের মধ্যে রেলের সমস্যা দূর না হলে রেলের সামনের শোয়া কর্মসূচী
সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল করা, নতুন ট্রেন চালু ও রেলের মান উন্নয়নের দাবীতে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রেল গেইটে বিকাল ৩টায় নাগরিক সমাবেশ ও রেললাইনে ১০ মিনিট শোয়া কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাধীন সিলেট রেলওয়ের অবস্থা ভয়াবহ দুর্দশাগ্রস্ত। আমরা বৃহত্তর সিলেটের নাগরিকরা বিভিন্নভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে অধিকাংশ রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সিলেট বিভাগের। সিলেট উন্নয়নের দিক থেকে যতটুকু থাকার কথা ততটুকু নেই। সিলেটে মানসম্পন্ন রেলপথ নেই, মহাসড়কের বেহাল দশা ও আকাশপথে সামর্থ্যরে বাহিরে সিলেট-ঢাকা যাতায়াতে অতিরিক্ত ভাড়া। যার ফলে আমরা সিলেটবাসী সিলেট-ঢাকা যাতায়াতে চরম ভোগান্তিন্তে রয়েছি। দীর্ঘদিন থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে পরিণত করার জন্য কাজ চলছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাজের জন্য মহাসড়কে প্রায়শই মারাত্মক যানজট লেগে থাকে। ৬/৭ ঘন্টার রাস্তা যানজটের কারণে ১২/১৫ ঘন্টা লেগে যায়, তা কখনও ১৫/২০ ঘন্টা সময়ে গড়ায়। এই কারণে মহাসড়কের চেয়ে সিলেট-ঢাকা রুটে রেলপথ ও বিমান পথ বেশী ব্যবহার করা হচ্ছে। বিমান পথের ভাড়া অতিরিক্ত হওয়ায় সাধারণ জনগণ রেলপথকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানী, হিজড়াদের চাঁদাবাজি, টিকেট কালোবাজারী, ভিক্ষাবৃত্তি, অতিরিক্ত ভাসমান ব্যবসায়ী ও বগিতে মাতাতিরিক্ত যাত্রী উঠানামা বেড়ে গেছে। সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল করা, নতুন ট্রেন চালু ও রেলের মান উন্নয়ন করা বর্তমান সময়ে সিলেটবাসীর জন্য খুবই প্রয়োজন। বক্তারা আরো বলেন, সিলেট-ঢাকা রুটে আন্ত:নগর চারটি ট্রেন রয়েছে। এরমধ্য থেকে একটি ট্রেনকে সিলেট-ঢাকা রুটে বিরতীহীনভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করলে সিলেটবাসী উপকৃত হবেন। সিলেট-চট্রগ্রাম রুটে দুইটি আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু আমরা সিলেটবাসী সিলেট থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেনে যেতে পারিনা। সিলেট-চট্রগ্রাম রুটের দুইটি ট্রেনের মধ্যে একটি কক্সবাজার পর্যন্ত চালু করলে ভ্রমন পিপাসু নাগরিকদের জন্য যাতায়াতে সুবিধা হতো। সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্রগ্রাম, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে বিরতীহীন নতুন ট্রেন চালু, রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীতকতরণ, ট্রেনের মান উন্নয়ন, সিলেট-ছাতক রুটে পূনরায় ট্রেন চালু, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন ও সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রæটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করতে হবে। নাগরিক সমাবেশ ও শোয়া কর্মসূচী থেকে রেলের টিকেট কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান বক্তারা।
সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব ইকবাল মুন্নার পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিবিযুকস’র সিলেট মহানগর কমিটির ধর্ম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার। বক্তব্য রাখেন সিকস’র উপদেষ্টা রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, সিলেটী সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ডিনেস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের অন্যতম অভিভাবক যোদ্ধা মোঃ আব্দুস শহীদ খান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের অন্যতম নেতা সৈয়দ ইব্রাহীম, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, রোটা: মোঃ আব্দুস সালাম, সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলমনি কান্ত চন্দ, লেইছ সুপারের মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ষ্টেশন রোডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক মোঃ কামাল আহমদ, ইবনে সিনা হাসপাতালের স্টাফ সুপারভাইজার আব্দুল হান্নান, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন আহমেদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক শাওন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি কামাল আহমদ, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাকের, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ।