শাহ আরেফিন (র.) মাজারের পাথর লুটপাটকারী বশর গ্রেপ্তার

সাদাপাথরের লুটপাটকারী আলফুকে গ্রেপ্তারের পর তার ঘনিষ্ট সহযোগী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (র.) এর মাজারের পাথর লুটপাটকারী বশর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তিনি উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। এসময় তার আরও ৫ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রতন শেখ।
জানা যায়, রাতে পুলিশ ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু করেন। প্রথমে অভিযানে শাহ আরেফিন (র.) এর মাজারের পাথর ধ্বংসের হোতা বশর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাৎক্ষণিক তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় তার সহযোগী আব্দুল মালেকসহ অন্যদেরকে সাজা দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর প্রায় ৭০০ বছরের পুরাতন শাহ আরেফিন (র.) এর মাজারে স্তুপ করে রাখা ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। পাশাপাশি মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন করা হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজার কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এসবই হয়েছে বশর মিয়ার নেতৃত্বে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বশরের বিরুদ্ধে শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশ এসল্ট মামলার আসামি তিনি। এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষাকারীদের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়।
এ ব্যপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, বশর ও তার ৫ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।





