অভিজ্ঞ বনাম নবীন প্রার্থী, মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে প্রায় ৯ মাস আগে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে নানাভাবে প্রচারণা শুরু করে জামায়াতে ইসলামী। ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর আসনগুলোতে নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে। বিএনপির অভিজ্ঞ প্রার্থীদের সঙ্গে জামায়াতের নবীন প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা।
বিএনপি ১১টি আসনের মধ্যে এখনো দুটি ‘ফাঁকা’ রেখেছে। ২০০১ সালের পর পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে জেলার কোনো আসনে দলের কেউ সংসদ সদস্য (এমপি) হতে পারেননি। তাই সর্বোচ্চসংখ্যক আসনে প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
জামায়াত ১০টি আসনে একক প্রার্থী ও বাকি একটি আসনে অন্য একটি দলের নেতাকে সমর্থন দিয়ে প্রচারণায় এগিয়ে আছে। তাঁরা মাঠে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ৫টিতে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারাও আছেন প্রচারণায়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গণসংহতি আন্দোলন চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ভাবছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। অথচ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ময়মনসিংহ-৮ আসন এবং ২০১৪ সালে ময়মনসিংহ-৭ আসন জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। জেলা জাতীয় পার্টির (কাদের) যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান আরজু বলেন, ‘আমরা ১১টি আসনেই প্রার্থী দেব। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে মাঠে নামাটা ঝুঁকি মনে করা হচ্ছে। আমরা প্রচারণায় গেলে দেখা যাবে হয়তো ক্ল্যাশ শুরু হয়ে গেছে। এ কারণে এমরা একটু কৌশল করে এগোচ্ছি।’
ময়মনসিংহ-১
হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-১ আসনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহকে (প্রিন্স) প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাঁর সামনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও নগরের চরপাড়া সাংগঠনিক থানা জামায়াতের রুকন মাহফুজুর রহমান। দুজনই এবার প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। এখানে খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা তাজুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের জিল্লুর রহমান মাঠে আছেন।
ময়মনসিংহ-২
ফুলপুর-তারাকান্দা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও জামায়াতের মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি আনোয়ার হাসান প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। অবশ্য প্রথমে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাহবুব আলম মণ্ডলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। পরে ৬ নভেম্বর তা পরিবর্তন করে আনোয়ার হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়। মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা থাকায় তাঁকে পরিবর্তন করা হয় বলে জানিয়েছে জামায়াত।
বিএনপির মোতাহার হোসেন তালুকদার একবার তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম। ভোটের মাঠে এই নেতার সঙ্গে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন জামায়াতের প্রার্থী। জামায়াত কৌশল নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীও এলাকায় সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলনের মুফতি গোলাম মাওলা ভূঁইয়া ও খেলাফত মজলিসের মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ নির্বাচনী মাঠে আছেন।
ময়মনসিংহ-৩
গৌরীপুর উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসেইন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের পর এবার তৃতীয়বারের মতো তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরুজ্জামান।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম বলেন, ‘দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
এ আসনে সিপিবির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন আল বারী, খেলাফত মজলিসের ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আইয়ুব আলী নুরানী নির্বাচন করতে পারেন।
ময়মনসিংহ-৪
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা ময়মনসিংহ-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন মহানগর শাখার আমির কামরুল আহসান। সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এখানে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিবির জেলা সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুশতাক আহমেদ ফারুকী, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন প্রার্থী হতে পারেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকার ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হান্নান খান।
সিপিবির জেলা সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিক প্রচারে না নামলেও পথসভা-উঠান বৈঠক করে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না সংশয় রয়েছে। সব আশঙ্কা দূর করে নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি।’
ময়মনসিংহ-৫
মুক্তাগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। এখানে গণসংহতি আন্দোলনের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম সরকার, খেলাফত মজলিসের মুফতি হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সিরাজুল ইসলাম ও এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক মিরাজ মেহরাব তালুকদার প্রার্থী হতে পারেন।
জাকির হোসেনের বড় ভাই বিএনপি সরকারের সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এমপি হয়েছিলেন। ভোটের মাঠে ধানের শীষ প্রতীকে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাকির হোসেন। এ আসনে জামায়াত-বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন অনেক ভোটার।
ময়মনসিংহ-৬
ফুলবাড়িয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই কোন্দল দেখা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলেই। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুল আলম প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁকে পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল করিম সরকার এবং সাবেক এমপি শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদের সমর্থকেরা।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এখানে জেলা জামায়াতের সাবেক আমির জসিম উদ্দিনের অনুসারী একটি অংশ প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তোলেন। এরপর জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা জামায়াত।
কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা আগেভাগে হওয়ায় প্রচারণাও চলছে। জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের একটাই কথা, গত ৫৪ বছরে অনেক দল দেখেছে, এবার তারা পরিবর্তন দেখতে চায়।’
ময়মনসিংহ-৬ আসনে সিপিবির উপজেলা শাখার সদস্য মোতালেব হোসেন, খেলাফত মজলিসের মুফতি আবদুল কাদির, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি নূরে আলম সিদ্দিকী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন প্রার্থী হতে পারেন।
ময়মনসিংহ-৭
ত্রিশাল উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে তৃতীয়বারের মতো বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরেই ভোটের মাঠে থেকে প্রচারণায় আছেন তিনি। অভিজ্ঞ এ প্রার্থীর সঙ্গে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক জনসমর্থন আদায়ে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
এ আসনে এনসিপির পক্ষ থেকে জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মাহবুব উল আলম, খেলাফত মজলিসের আবদুল কদ্দুস শিকদার, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রার্থী হতে পারেন। ইতিমধ্যে তাঁরা মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ময়মনসিংহ-৮
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এলাকায় ‘শিক্ষানুরাগী’ হিসেবে পরিচিত এ নেতা জোরেশোরে প্রচারে নেমেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা জামায়াতের আমির মঞ্জুরুল হক ভোটের মাঠে কৌশলী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলনের উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাবিবুল্লাহ ও খেলাফত মজলিসের আবদুল কাদের ফরেজী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব দিয়েছে। গত ১৭ বছরে ঈশ্বরগঞ্জে কোনো কাজ হয়নি। জনগণের ভোটে আমি এমপি হতে পারলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাব। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার রেখে কাজ করব।’
ময়মনসিংহ-৯
নান্দাইল উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিলেও জামায়াতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলামকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী। দুই প্রার্থীই প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচন করছেন।
ইয়াসের খানের বাবা আনোয়ার হোসেন খান চৌধুরী একবার ও চাচা খুররম খান চৌধুরী তিনবার এই আসনের এমপি ছিলেন। এখানে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন বিএনপির অন্য নেতারা। মনোনয়নবঞ্চিত মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন বিন আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য নাসের খান চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম একত্র হয়ে কর্মসূচি করেছেন। এখানে এনসিপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, খেলাফত মজলিসের শামসুল ইসলাম রহমানী ও ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সাইদুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন।
আশিকিন আলম বলেন, ‘আমরা সব আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে ৫টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা হয়েছে। বাকিগুলোতেও যোগ্য প্রার্থী তালিকা করছি। সময়মতো দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।’
ময়মনসিংহ-১০
দলীয় বিভক্তি থাকায় ময়মনসিংহ-৫ আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। গফরগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতের উপজেলা শাখার আমির ইসমাইল হোসেন (সোহেল) প্রচারণায় আছেন। সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছেন জামায়াতের এই নেতা। এখানে খেলাফত মজলিসের ইলিয়াস আহমেদ ফরাজী, ইসলামী আন্দোলনের দক্ষিণ জেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা হাবিবুল্লাহ বেলালী, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে মো. শামসুল আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ময়মনসিংহের চারটি আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছি। আমরা আশাবাদী, জনগণ এবার কোনো প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না। জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণ করব।’
ময়মনসিংহ-১১
শিল্পাঞ্চল খ্যাত ভালুকা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহম্মেদ। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও এবার মাঠে নেমেছেন বিএনপির এই প্রার্থী। এখানে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে উপজেলার আমির সাইফ উল্লাহ পাঠান মাঠে আছেন। সিপিবির মোজাম্মেল হক, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য মো. খালেদ হোসাইন, এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় যুবশক্তির উপজেলা শাখার সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মামুনুর রশিদ ও ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মুস্তফা কামাল কাসেমীও মাঠে তৎপর আছেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, ‘দল এখন প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। দল যখন নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি মুভমেন্ট করবে, তখন কোনো গ্রুপিং থাকবে না। বড় দলে টুকটাক সমস্যা থাকেই। তবে ধানের শীষের পক্ষে সবাই এক।’ সূত্র: প্রথম আলো








