কিডনিতে পাথর হলে খাদ্যাভাসে যেসব পরিবর্তন জরুরি
কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া। এ ছাড়া, কিডনির পাথর অপারেশন করানোর পরেও তা আর হবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই সঠিক ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
চলুন, জেনে নিই খাদ্য তালিকায় যেসব খাদ্য রাখা উচিত।
পানি ও তরল খাবার
প্রথমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। দিনে কমপক্ষে ৩–৪ লিটার পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে এবং কিডনিতে জমে থাকা খনিজ ও বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। জুস বা অন্যান্য তরল খাবারের সাথে মোট ৫-৬ লিটার তরল গ্রহণ করলে আরও উপকারি হবে।
সাইট্রেট সমৃদ্ধ ফল
পাতিলেবু, কমলালেবু মতো সাইট্রেট সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উপকারী। সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর ভাঙতে ও গলাতে সাহায্য করে। লেবুর রস প্রস্রাবের অম্লত্ব কমায়, যা নতুন পাথর গঠনে বাধা দেয়।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
কলা, পেঁপে, তরমুজের মতো ফলে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। এ ছাড়া, এই ফলগুলি রসালো হওয়ার কারণে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক গুণ কিডনি পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
শাকসবজি ও ফাইবার যুক্ত খাবার
লাউ, পালং, করলা, ঝিঙে বা পাটশাক কিডনি পরিষ্কার করতে সহায়ক। এগুলোর মধ্যে পানি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের টক্সিন বের করে দেয় এবং ক্যালসিয়াম জমাট বাঁধা রোধ করতে সাহায্য করে।
দুধ ও দই (পরিমিত পরিমাণে)
অনেকে মনে করেন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে পাথর বাড়ে, কিন্তু আসলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম শরীরে অক্সালেট শোষণ কমিয়ে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। তাই, সীমিত পরিমাণে দুধ ও দই খাওয়া উপকারী।
ডাবের পানি
ডাবের পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ায় এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এটি কিডনিতে ছোট পাথর গলাতে সহায়তা করতে পারে।এই ডায়েট কেবল তখনই কার্যকরী হবে যদি কিডনিতে পাথর ছাড়া অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকে। যদি আগে থেকেই অন্য কোনো রোগ থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ডায়েট অনুসরণ করা উচিত। সূত্র : এই সময়








