সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নে মালেক খানকে ‘সদয় বিবেচনা’ করার দাবি এলাকাবাসীর
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খানকে চূড়ান্ত তালিকায় রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ, নেতৃত্বগুণ ও মুক্তিযুদ্ধের অবদান বিবেচনায় তাকে মনোনয়ন প্রদান সময়োপযোগী হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মালেক খান ৫ নং সেক্টরের বালাট সাব–সেক্টরে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন এবং মর্টারশেল স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। যুদ্ধোত্তর সময়ে তিনি বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
রাজনীতিতে যুক্ত হন ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে। এরপর থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। দলীয় সংকটকালে তৃণমূল পুনর্গঠনে তিনি সক্রিয় নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বারবার ত্যাগ স্বীকার করেও দলীয় সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন মালেক খান। ২০০১, ২০০৭সহ বেশ কয়েকবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ার শেষ মুহূর্তে দলের সিদ্ধান্তে আসন ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবুও তিনি দলের আদর্শ থেকে সরে যাননি।
ব্যক্তিগত জীবনে মালেক খান একজন লেখক, গীতিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সমানভাবে পরিচিত। ১৯৮৬ সালে লন্ডনের রয়েল অ্যালবার্ট হলে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় হামলা, মামলা ও বাড়ি দখলের শিকার হলেও তিনি দল ও মানুষের পাশে ছিলেন নিরলসভাবে।
এলাকাবাসী মনে করেন— মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ত্যাগী রাজনীতিক হিসেবে মালেক খান সুনামগঞ্জ-৩ আসনে একটি গ্রহণযোগ্য ও যোগ্য প্রার্থী। তাই বিএনপির হাই কমান্ডের প্রতি তাদের দাবি— চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় মালেক খানকে রাখা হোক।







